জেলার মুলাদী ও গৌরনদী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার আড়িয়াল খাঁ নদী থেকে অবৈধ ড্রেজারের মাধ্যমে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে নদী ভাঙনের তীব্র হুমকির মুখে পরেছেন আড়িয়াল খাঁ নদী তীরের দশটি গ্রামের বাসিন্দারা।
নদীপাড়ের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় বালু খেকোরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা ব্যবসা পরিচালনার জন্য অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করার খেসারত দিতে হচ্ছে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙনে ফসলি জমিসহ দশটি গ্রামের শত শত ঘরবাড়ি বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সূত্রমতে, বালু মহল ইজারা না নিয়ে ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তলোন করা সম্পূর্ণ বেআইনী হলেও সরকারের নিয়তনীতির তোয়াক্কা করছেন না মুলাদী উপজেলার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি।
ভূক্তভোগীরা জানিয়েছেন, মুলাদী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিভিন্নস্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। সরেজমিনে বালু উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত একাধিক শ্রমিকরা জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান কামরুল ইসলামের নির্দেশে তারা নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন।
তবে বাণিজ্যিকভাবে নদী থেকে বালু উত্তলোনের বিষয়টি অস্বীকার করে মুলাদী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম বলেন, কেউ আমার নাম ব্যবহার করে অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে থাকতে পারে। বালু উত্তোলনের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
মুলাদী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ রিয়াজুর রহমান বলেন, যেকোন মূল্যে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তালোন বন্ধ করা হবে। বালুখেকোদের বিরুদ্ধে প্রায়ই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।