ব্যাংক চেক জালিয়াতি মামলায় দিনাজপুরের হিলি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাচক হাফিজুর রহমান কে এক বছরের কারাদ- প্রদান করেছেন দিনাজপুর জেলা বিজ্ঞ আদালত (মামলা নং ৪৭৪/১৩)।
শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে হাসপাতাল থেকে একমাসের ছুটি নিয়েছেন এই হাসপাতালের পাচক হাফিজুর রহমান।
২ রা মার্চ বুধবার ব্যাংকচেক জালিয়াতি মামলায় দিনাজপুর বিজ্ঞ আদালত হিলি হাকিমপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাচক হাফিজুর রহমানকে এক বছরের কারাদ- দিয়ে জেল-হাজতে পাঠান।
মামলা সুত্রে জানা যায়, মামলার বাদী হিলির চৌধুরী ডাঙ্গাপাড়া দলিল উদ্দিন সরকার ও বিবাদী হিলির ডাঙ্গাপাড়া বাজারের বাসিন্দা হাফিজুর রহমান উভয়ে তারা ধান ব্যবসায়ী। ২০১৩ খৃষ্টাব্দের ২৭ মার্চে দলিল উদ্দিন সরকারের নিকট থেকে হাসপাতালেরপাচক হাফিজুর রহমান ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ধান ক্রয় করেন। এ সময় হাফিজুর রহমান নগদ টাকা না দিয়ে সাড়ে ৭ লাখ টাকার নিজ স্বাক্ষরিত বিরামপুর ইসামী ব্যাংক শাখায় একটি চেক প্রদান করেন। পরের দিন ২৮ মার্চ বিরামপুর ইসলামি ব্যাংকে চেকটি জমা দিলে তিনি জানতে পারেন ওই একাউন্টে হাফিজুর রহমানের কোন টাকা নেই। এই নিয়ে বাদী দলিল উদ্দিন ঐ ব্যাংকে ৪ বার চেকটি প্রদান করেন। পরবর্তিতে তাকে ঐ চেকের টাকা প্রদানের নিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয় হাফিজুর রহমানকে। কয়েক বার নিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার পর ও টাকা পরিশোধ করেন নি তিনি। এমত আবস্থায় বাদী বিশ্বাস করে তার সাড়ে ৭ লাখ টাকা বিবাদী হাফিজুর রহমান আত্মসাৎ করবেন। ২০১৩ খৃষ্টাব্দ ৭ অক্টোবর হাসপাতালের পাচক হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র বাদী হয়ে চেকের মামলা হয়।
দীর্ঘদিন মামলার প্রক্রিয়া শেষে ২০২২ খৃষ্টাব্দ ২ মার্চ হাফিজুর রহমানকে ১ বছরের কারাদ- প্রদান করেন দিনাজপুর আদালত।
এদিকে হিলি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানা যায়, হাফিজুর রহমানের পরিবর্তে তার মেয়ে তার কর্মস্থলে কর্মরত আছেন। হাফিজুর রহমান শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে হাসপাতাল থেকে এক মাসের ছুটির আবেদন দিয়ে ২ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ছুটি নিয়েছেন।
চেক জালিয়াতির কারণে হাফিজুর রহমান জেলখানায়, কিন্তু তাকে অসুস্থতার কথায় একমাসের ছুটি কেন দিয়েছেন, জানতে চাইলে হিলি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা (টি, এইচ, ও) ডঃ শ্যামল কুমার দাস বলেন, আমরা হাফিজুর রহমানের চেক জালিয়াতির মামলা আছে সেটি অবগত ছিলাম না। এ বিষয়ে আজ অবগত হলাম এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বিষয়টি জানিয়েছি। শারীরিক অসুস্থতার অজুহাতে এক মাসের ছুটি নিয়েছেন। তার মিথ্যা ছুটির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।