নগরীর আমিরকুটির এলাকার ভাড়াটিয়া বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দুই সন্তানের জননী সাহিদা বেগমের (২৪) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে লাশ উদ্ধারের পর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা! তা নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, যেহেতু ঘটনার সময় স্বামী বাসায় উপস্থিত ছিলেন, তাই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের সন্দেহ হচ্ছে এটি হত্যাকান্ডের ঘটনা হতে পারে। পুরো ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তদন্ত চলছে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বাসিন্দা ইমরান হোসেন জানান, দীর্ঘদিন থেকে তিনি তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে নগরীর ১৫নং ওয়ার্ডের আমিরকুটির এলাকার ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন। তিনি আরও জানান, বুধবার দিবাগত রাত বারোটার দিকে তার দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমাতে যায় সাহিদা। এসময় আমি পাশের রুমে ছিলাম। হঠাৎ একটা শব্দ শুনে রুমে গিয়ে দেখি সাহিদা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ইমরান আরও জানান, সাহিদার সাথে তার কোন বিরোধ কিংবা দাম্পত্য কলহ ছিলোনা। তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে সে বিষয়টিও অস্পষ্ট।