নীলফামারীর সৈয়দপুরে অপসাংবাদিকদের দৌড়াত্ব বেড়েছে। এরা সাংবাদিকতা পেশাকে পুজি করে মেতে ওঠেছে চাঁদাবাজিতে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় সহজ সরল মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা স্বার্থ হাসিল করে চলছে। এদের বিরুদ্ধে প্রতিদিনই নানান অভিযোগ নিয়ে সৈয়দপুর প্রেসক্লাবে আসেন অনেকে। কোন কোন সময় এরা পুলিশের ভুমিকাও নিয়ে থাকেন। সম্প্রতি আল ফারুক একাডেমির এক শিক্ষকের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার পরিবারকে ভীতি প্রদর্শন করে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠে।
কয়েকদিন পুর্বে সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালের দক্ষিণ বাউন্ডারী দেয়াল সংলগ্ন একটি কোয়ার্টারে বসবাস করে আসছে নুর হোসেন নামে এক অসহায় ব্যক্তি। তার বাসার উঠোনে বেড়ে ওঠা কাঁঠাল গাছে থাকা পোঁকা খাবারে পড়ে ফুড পয়জিনিংয়ের শিকার হয় নুরের মেয়ে। তাই পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ওই গাছের কিছু পাতা ছাঁটেন বাসা মালিক।
কিন্তু পাতা ছাঁটায় বিধিবাম। পাতা ছাঁটার অভিযোগ নিয়ে সেখানে হাজির হয় কজন সাংবাদিক। তাদের দাপুটে আচরণে বাসা মালিক নৈশ প্রহরী হতভম্ব।
ওই সাংবাদিকদের চাহিদা মত দেয়া হয় দেড় হাজার টাকা। আড়াই শ টাকা করে তারা ভাগে পেয়েছেন বলে জানা যায়।
দিনের পর দিন এরা এভাবে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। এদের বিরুদ্ধে জনগনকে রুখে দাঁড়াতে হবে। এদের কারণে প্রকৃত সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছেন। সরকারীভাবে আইপি টিভি ও অনলাইন পোর্টাল নিষিদ্ধ হলেও সৈয়দপুরে চলছে দীব্বি। এগুলোতে ছাড়া হচ্ছে ভিডিও দেয়া হচ্ছে নিউজ। সরকারী ওএমএসের এক ডিলারকে ভীতি প্রদর্শন করে নেয়া হয় ৩ হাজার টাকা।
যেখানে সাংবাদিককে বলা হয় জাতীর বিবেক সেখানে সাংবাদিককে আজ বলা হচ্ছে সাংঘাতিক। কেউ কেউ বলছেন শকুনের দল। বর্তমানে সৈয়দপুরে অপসাংবাদিকতা জমে ওঠেছে। এদের কার্যক্রমে অতিষ্ঠ সাধারণ ব্যবসায়িসহ রাজনৈতিক নেতারা।
এ ব্যাপারে সরকারী এক কর্মকর্তা জানান, যারা সরকারী অনুমোদন ছাড়া আইপি টিভি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল খুলে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করছেন তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। কারণ এগুলোকে অনেক আগেই সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।