মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মো. জান্নাত (১৬) নামে এক কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
নিহত কিশোর মো. জান্নাত গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের গুয়াগাছিয়া গ্রামের মালেশিয়া প্রবাসী মানিক বেপারীর ছেলে। সে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার গুয়াগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনায় ঘটে।
এঘটনায় নিহত জান্নাতের দাদা ফজর আলী চারজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে অজ্ঞাত ২/৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
নিহত জান্নাতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, মো. জান্নাত একই এলাকার তার প্রেমিকার সাথে দেখা করতে ওই দিন রাত ১২টার দিকে প্রেমিকার বাড়িতে গেলে মো. জান্নাত কে প্রেমিকার পরিবারের লোকজন মারধর করে প্রেমিকার বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত জায়গায় ফেলে রাখে। পরে জান্নাতের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনার স্থলে এসে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত জান্নাতের দাদা ফজর আলী স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, গত তিন মাস যাবত
একই এলাকার জান্নাতির সাথে আমার নাতি জান্নাতের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়ের পক্ষ আমার নাতি জান্নাত কে মারধর করে। এর কয়েকদিন পর মেয়ের ভাই সিজান বৃহস্পতিবার রাতে মোবাইল ফোনে আমার নাতি সিজান কে বাড়িতে ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করে।
তবে প্রেমিকার বাবা মোস্তফা তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট বলে দাবি করেছেন।
এদিকে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. রইছ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনার স্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেয়ের চাচাকে থানায় আনা হয়েছে।প্রাথমিক সুরতহাল শেষে শুক্রবার দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা।