বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে এবার মরিচ চাষে দাম ও ফলন ভালো পাওয়ায় চরের চাষীরা আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন। এ এলাকায় ১৯৫০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিট জাতের মরিচ চাষ করা হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে চাষীরা শতাধিক মণের অধিক কাঁচা মরিচের ফলন পাচ্ছেন। স্থানীয় সূত্রে ও উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, বন্যার পরপরই চাষীরা জমিতে অধিক হারে মরিচ চাষ করে থাকেন। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩ হাজার ৬২০ হেক্ট জমিতে মরিচ চাষ করা হয়ছে। এর মধ্য ১ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিট জাতের মরিচ চাষ করা হয়েছে। তবে ইদানীং সবচেয়ে বেশি চাষ করে থাকেন উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিট জাতের মারিচ। এ মরিচ থেকে বছর জুড়ে কাঁচা মরিচের ফলন পাওয়া যায়। চাষীরা সারাবছর কাঁচা মরিচ বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা আয় করে থাকেন। এবার বাজারে কাঁচা মরিচের দাম খুবই ভালো। চাষীরা জানান বিল এলাকায় কিছু জমিতে হাইব্রিট জাতের মরিচ চাষ হয়ে থাকলেও চরের চাষীরা অধিকহাবে এবার হাইব্রিট মরিচ চাষ করেছেন। চরের জমি থেকে এবার ভালো ফলনও পাওয়া যাচ্ছে। জমিতে ভাদ্র-আর্শ্বিন মাসে হাইব্রিট মরিচের চারা রোপন করা হয়েছিলো। ৬০ দিন পর থেকেই গাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে ফলন এবং তা উত্তোলন চলবে আগামী জৈষ্ঠ্য মাস পর্যন্ত। প্রতি বিঘা জমি থেকে এ পর্যন্ত ৭০ থেকে ৮০ মণ কাঁচা মরিচের ফলন পাওয়া গেছে। কাজলা ইউনিয়নের টেংরাকুড়া চরের চাষী আবদুল মতিন বলেন, আমি এবার ২ বিঘা জমিতে হাইব্রিট জাতের মরিচ চাষ করেছি। ফলন হয়েছে খুবই ভালো। প্রথম দিকে বাজারে দাম ভালো না পেলেও গত ২০-২৫ দিন ধরে ভালো দাম পাচ্ছি। প্রতি কেজি হাইব্রিট কাঁচা মরিচ বিক্রি করছি ৫০ থেক ৫৫ টাকা দরে। এ দামে বিক্রি করতে পারলে মরিচ ফসলে আমাদের খুবই লাভ থাকবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আবদুল হালিম বলেন, বাজারে কাঁচা মরিচের দাম খুবই ভালো। এছাড়াও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় হাইব্রিট মরিচে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ও দাম ভালো থাকায় চরের চাষীরা অধিক লাভবান হচ্ছেন।