চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলের চা শিল্পাঞ্চলে চলতি নতুন মৌসুমে (২০২২) চা উৎপাদন শুরু হয়েছে। শ্রীমঙ্গলের বেশ কয়েকটি চা-বাগানে টিপিং (পাতা চয়ন) শুরু হবার পর উৎপাদন শুরু হয়। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে চা-শিল্পাঞ্চলে পুরোদমে চা উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন চা শিল্প সংশ্লিষ্টরা।
চা বোর্ড সুত্র জানায়, এবার মৌসুমের শুরুতে আগাম বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবং চা গাছে নতুন কুঁড়ি চলে আসায় বেশ কিছু বাগানে টিপিং ও উৎপাদন শুরু হয়ে গেছে। সাধারনত ৩১ ডিসেম্বর চা মৌসুম শেষ হয়ে যায়। তখন চা গাছে প্রুনিং করা হয়। এ সময় ২/৩ মাস ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকে। মার্চে বা এপ্রিলে বৃষ্টি হলে আবার চা শিল্পে ফিরে আসে প্রাণচাঞ্চল্য। শুরু হয় পাতা চয়ন। সচল হয় ফ্যাক্টরিগুলো।
শ্রীমঙ্গলের জেরিন টি এস্টেটের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সেলিম রেজা জানান, গত ৭ মার্চ তাদের চা-বাগানে টিপিং শুরু হয়। পরবর্তিতে ফ্যাক্টরিতে শুরু হয় চা উৎপাদন।
শ্রীমঙ্গলের ইস্পাহানী চা কোম্পানীর মির্জাপুর টি এস্টেটের সিনিয়র ম্যানেজার মো. সাইদুজ্জামান বলেন, আমরা ৯ তারিখে টিপিং শুরু করেছিলাম। ১০ মার্চ আমাদের চা উৎপাদন শুরু হয়।
এদিকে হবিগঞ্জের মাধবপুরে অবস্হিত সুরমা চা-বাগানের সহকারি ব্যবস্হাপক অপু দত্ত জানান, দুই দিন আগে তারা টিপিং ও চা উৎপাদন শুরু করেছেন।
শ্রীমঙ্গলে অবস্হিত বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী জানান, আগামী ২০ মার্চের মধ্যে টিপিং ও উৎপাদনে যাবার পরিকল্পনা রয়েছে।
পঞ্চগড়ে অবস্হিত বাংলাদেশ চা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামীম আল মামুন জানান, আগাম বৃষ্টি হওয়াতে উত্তর জনপদের চা শিল্পাঞ্চলে গত ১ মার্চ থেকে চা উৎপাদন শুরু হয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত: গত বছর (২০২১) দেশের চা শিল্পের ১৬৮ বছরের ইতিহাসে সকল রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ ৯ কোটি ৬৫ লাখ ৬ হাজার কেজি চা উৎপাদন করে নতুন রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ চা বোর্ড।