অ্যাপিলেড ডিভিশনের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষনটি ছিল জাতিকে অনুপ্রাণিত করে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে। কারো বাশি শুনে এদেশ স্বাধীন হয়নি। বঙ্গবন্ধুর ডাকে ১৯৭১সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছিল। পরবর্তিতে ২০১৭ সালে ইউনেস্কো ঐতিহাসিক ভাষনকে বিশ্বের গুরুত্বপুর্ন প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটির দিনাজপুর শাখার আয়োজনে দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘এতিহাসিক ৭ মার্চ এর তাৎপর্য ও বাংলাদেশ -ভারত সম্পর্ক এর নব অধ্যায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। দীর্ঘ ৫০বছরে এ বন্ধুত্ব আরো দৃঢ় হয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সহযোগিতা না পেলে হয়ত ৯মাসের জায়গায় ৯বছর সময় লাগতে পারতো। দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে আমাদের উন্নয়নেও ভারত সহযোগিতা করে আসছে।
তিনি আরও বলেন ১৯৭৫সালের ১৫আগষ্ট পাকিস্তান,চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মদদে খুনী জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে নয় তার আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধকে হত্যা করেছিলেন। জিয়া কোনদিন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। জিয়া জয়বাংলা শ্লোগানকে বিতারিত করেছিলেন। শাহ আজিজসহ সকল রাজাকারদের তার মন্ত্রীসভায় স্থান দিয়েছিলেন। তিনি আসলেই ছিলেন পাকিস্তানী গুপ্তচর।
বিশেষ অতিথি ড, তুরিন আফরোজ বলেন, ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু কি বলেছিলেন। বাংলার মানুষ বাচতে চায়। মুক্তি চায়, তারা অধিকার পেতে চায়। তিনি বাংলার মানুষের কথা বলেছেন। তিনি বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের সবচেয়ে বড়নেতা, বড় প্রবক্তা।
এর আগে বক্তব্য দেন, সাবেক আর্ন্তজাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিষ্টার ড. তুরিন আফরোজ, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও, দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরুপ বকসী বাচ্চু, সাংবাদিক গোলাম নবী দুলাল, এড. সৈকত পাল। সভাপতিত্ব করেন সচেতন কমিটির আহ্বায়ক ও কাহারোল উপজেলা চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক সরকার।