নিম্নমানের ইট, খোয়া ও বালু দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে এলাকাবাসী অবহিত করলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়াহয়নি বলে অভিযোগ তাদের। ফলে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।জানা যায়, উপজেলার মৌকুড়ী মাষ্টার মোড় থেকে কাতলাগাড়ি বাজার পর্যন্ত৩৬৬০ মিটার রাস্তা সংস্কার কার্যাদেশ পায় শৈলকুপার মেসার্স শিকদারএন্টার প্রাইজ এর ঠিকাদার মোস্তাক শিকদার। এই কাজের জন্য সরকারী ব্যায় ধরাহয় প্রায় ২ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা সেইসাথে কাজের মেয়াদ ৩০ জুন।
সরেজমিনে দেখা যায়, একেবারেই নি¤œমানের ইট খোয়া দিয়ে চলছে এই রাস্তানির্মাণ কাজ। তদারকিতে উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের কাউকে দেখা যায়নি।ইচ্ছামত ঠিকাদার এসব নি¤œমানের সামগ্রীী দিয়ে রাস্তা নির্মাণ কাজকরছে।কিছু কিছু স্থানের কাজ রুলার করা হয়ে গেছে। দেখে মনে হচ্ছেপোড়ামাটি রাস্তায় লেপন করা হয়েছে। বর্তমান এলাকাবাসিদের তোপের মুখেঠিকাদার সাময়িক কাজ বন্ধ রেখেছে।উপজেলার গোয়ালবাড়ি এলাকার মোঃ জাহাঙ্গীর বলেন,এই পাকা রাস্তায় ব্যবহার করাহচ্ছে নিম্নমানের ইট, খোয়া, বালু।এসব নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তানির্মাণ করা হলে দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তাই আমরা সাময়িক কাজবন্ধ করে দিয়েছি।আমাদের দাবী ভালমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করাহোকস্থানীয় বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলেন, রাস্তাট প্রথম থেকে অনিয়ম করাহয়েছে। পঁচা ইটের উপর রোলার দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এই রাস্তা নির্মাণ শেষপর্যায়ে আসলেও কাজের মান নি¤œমুখী। কাজের দায়িত্বে থাকা ওয়ার্কএ্যাসিসটেন্টরা দেখেও না দেখার ভান করে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রক্যেশলীকে অবগতকরা হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে রাস্তা নির্মান ঠিকাদার ও শিকদার এন্টার প্রাইজের মালিক মোস্তাকশিকদার বলেন, এই রাস্তা নির্মাণে কিছু খারাপ ইট গিয়েছে। তবে আমি খারাপইটগুলো সরিয়ে নিতে বলেছি আর যে খারাপ ইটগুলো রুলার হয়ে গেছে সেখানেও
ভাল ইট দিয়ে কাজ করবো।শৈলকুপা উপজেলা প্রক্যেশলী বিকাশ চন্দ্র নন্দী বলেন, আমি শুনেছি নি¤œমানেরমালামাল দিয়ে কাজ হচ্ছে। এসব মালামাল ঠিকাদারকে সরিয়ে নিতে বলবো। আমিএখনই সাইডে লোক পাঠাচ্ছি। কোন নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করতে
দেয়া হবে না।