বগুড়ার গাবতলীতে এন এস আইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রওনক জাহান আমদানীকরা ৪২০ বস্তা ইউরিয়া সার উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় ট্রাকসহ ড্রাইভার ও হেলপারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।গাবতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রওনক জাহান জানান, এন এস আইয়ের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন, বগুড়া তিন মাথা বাফার ষ্টক গোডাউন থেকে লোড হয়ে এক ট্রক সার পাচার হয়ে বগুড়া গাবতলী নাড়-য়ামালা হাটের একটি দোকানে আনলোড হচ্ছে। ১৩ মার্চ রোববার দুপুরে নির্বাহী অফিসার এন এস আই কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি অসিারকে সাথে নিয়ে নাড়-য়ামালা হাটে অভিযান চালায়। ইাড়-য়ামালা হাটে জনৈক জিন্নার দোকানে বগুড়া থেকে পাচার হয়ে আসার সার আনলোড অবস্থায় ট্রাক ড্রাইভার আবদুল মোমিন ও হেলপার গাজিউলসহ সারভর্তি ট্রাক আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। উপজেলা কুষি অফিসার মোঃ মেহেদী হাসান জানান, সারগুলো আদমদীঘি উপজেলার জনৈক সার ব্যবসায়ী মীর জামাল বিশ্বসরের। বগুড়া বাফার ষ্টক গুদাম থেতে সারগুলো আদমদীঘিতে যাওয়ার কথা থাকলেও জনৈক কনক নামের এক ব্যাক্তি এই সারগুলো মায়ের দোয়া পরিবহন, ঢাকা মেট্রো-ট-নং- ১৮-২২৫৭ ট্রাকভাড়া করে নাড়-য়ামালা এলাকায় ব্যবসায়ী জিন্নার দোকানে পাঠায়। সেখানে সারগুলো আনলোড করা হচ্ছিল। সারের কোন চালান দেখাতে পারেনি ট্রাক ড্রাইভার আবদুল মোমিন।
কুষি অফিসার আরো জানান, ৪২০ বস্তা ইউরিয়া সার বিদেশ থেকে সরকারীভাবে আমদানীকরা। ৫০ কেজি ওজনের সাদা বস্তায় কালো লেখা ২১ মেষ্ট্রিক টন সার যার মুল্য ৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। এব্যপারে গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ট্রাকভর্তি ৪২০ বস্তা সারসহ ড্রাইভার আবদুল মোমিন ও হেলপার গাজিউলকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। কৃষি অফিসার মামলার দেবেন, প্রস্তুুতি নিচ্ছেন। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। ড্রাইভার ও হেলপারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এব্যপারে ব্যবসায়ী জিন্নার ছেলে রুবেলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সার গুলো কনকের। কনক এই সারগেুলো বিক্রির জন্য আমাদের দোকানে আনলোড করছিল। সকল দায় দায়িত্ব কনকের বলেও রুবেল জানানয়।