কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আসবাবপত্র ও নগদ টাকাসহ ৩টি বসতঘর, ৫টি গরুসহ দুটি গোয়ালঘর ও দুটি রান্নাঘর পুড়ে ভষ্মিভূত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার গভীর রাতে ধূলদিয়া ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামে। গ্রামবাসী দুইঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় জামাল উদ্দিন ও তার মা জাহেরা খাতুন (৭০) আহত হয়।
জানা যায়,উপজেলার ধূলদিয়া ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামের জামাল উদ্দিন গভীর রাতে ঘুমের মধ্যে তার বসত ঘর জ্বলতে দেখে ডাকচিৎকার শুরু করে। তার ডাক চিৎকারে আশপাশের মানুষজন ছুটে আসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। আগুনের লেলিহান শিখা মুহুর্তেই পার্শ্ববর্তী কামরুল ইসলাম পট্টু ও উসমানের বসত ঘর, গোয়ালঘর ও রান্না ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। ঘুমন্ত নারী পুরুষ ও শিশুদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে পারলেও আসবাবপত্র, নদগ টাকা পুড়ে ভষ্মিভূত হয়। এ সময় দুটি গোয়াল ঘরের ৫টি গরু পুড়ে যায় এর মধ্যে একটি উন্নত জাতের গাভী পুড়ে মারা যায়। কটিয়াদী ফায়ার সার্ভিসকে সংবাদ দিলেও রাস্তা সংকীর্ণতার কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারে নি। স্থানীয় লোকজন সেলু মেশিনের পানি দিয়ে দুই ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে তা জানা যায়নি বলে জানান এলাকাবাসী।
ক্ষতিগ্রস্থ উসমান বলেন, তার বসত ঘর, ঘরের আসবাবপত্র ও ঘরে রক্ষিত ৪০ হাজার টাকা পুড়ে অন্তত ৪লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। জামাল উদ্দিনের একটি উন্নত জাতের গাভী ও একটি বাছুর মূল্য দেড় লক্ষ টাকা হবে পুড়ে মারা যায় অন্যটি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। তাছাড়া বসত ঘর, ঘরে রক্ষিত ১০ হাজার টাকা পুড়ে ভষ্মিভূত হয়েছে এবং কামরুল ইসলামের বসত ঘর, ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ১০লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার।
সহশ্রাম ধূলদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম আকন্দ বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। স্থানীয় লোকজন সেলু মেশিনের পানি দিয়ে আগুণ নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে আগুনের সূত্রপাত জানা যায় নি।
কটিয়াদী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ আতিকুল আলম বলেন, আমাদের ফাস্ট কল গাড়িটি বেশ বড়। আমাদের সেকেন্ড কল কোন গাড়ি নেই। রাস্তা সংকীর্ণ থাকার কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারিনি। আমরা যতটুকু পর্যন্ত যেতে পেরেছি তার থেকে ঘটনাস্থল আরও ৪-৫কি.মি. দূরে। আমাদের ময়মনসিংহ বিভাগকে অবহিত করি। কিশোরগঞ্জ সদর থেকে সেকেন্ড কল গাড়ি পাঠানোর কথা। আমরা ঘটনাস্থলে যেতে না পেরে ফিরে আসি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতিশ্বর পাল বলেন, গভীর রাতে আগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা হবে। এ ধরণের ঘটনা অনাকাঙ্খিত। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের চেষ্টা করা হবে।