কুমিল্লা নগরীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুটি পক্ষ প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে। এর মধ্যে একজনের হাতে পিস্তল ছিল। মহড়ার একপর্যায়ে একটি পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা হয়। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৩ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরীর চকবাজার গর্জনখোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার চকবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো.কায়সার হামিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃত শহিদুর রহমান সজিব নগরীর মুরাদপুর মৌলভীপাড়া এলাকার ফরিদ উদ্দিনের ছেলে। এর আগে রোববার (১২ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে নগরীর চকবাজার গর্জনখোলা বিদ্যুৎ অফিস গলিতে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়।
মহড়া চলাকালে নেতৃত্ব দেওয়া ব্যক্তির হাতে একটি বিদেশি পিস্তল দেখা গেছে। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকজনের হাতে দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র দেখা গেছে। এ ঘটনার ঘটনার ১ মিনিট ৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, অন্তত ৫০ জনের হাতে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র। একজনের হাতে ছিল পিস্তল। ভিডিওর শেষ অংশে শহিদুর রহমান সজিবকেও আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অস্ত্রের মহড়া চলাকালে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে থাকা ব্যক্তির নাম আবদুর রাজ্জাক। তিনি নগরীর চকবাজার গর্জনখোলা পশ্চিম পাড়া এলাকার মালু মিয়ার ছেলে। তাঁর নেতৃত্ব প্রথমে হামলা চালানো হয়েছে গর্জনখোলা পূর্ব পাড়া বিদ্যুৎ অফিস গলি এলাকার বাসিন্দা প্রতিপক্ষ রবিন আহমেদ ও জালাল উদ্দিনের লোকজনের ওপর। রবিন ওই এলাকার মৃত মাহে আলমের ছেলে। আর জালাল একই এলাকার হোসেন মিয়ার ছেলে। এ ঘটনার পরে দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে এই অবস্থা। রবিন আহমেদ ও জালাল দুজনই স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের কর্মী। আর আবদুর রাজ্জাক বিএনপির কর্মী।
সোমবার পুলিশ ফাঁড়ির মো.কায়সার হামিদ বলেন, আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, ঘটনার সময় একটি আগ্নেয়াস্ত্রই (পিস্তল) রাজ্জাক ও সজিবের হাতে ছিল। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন তিনি।