পাবনার সুজানগর পৌরসভার কর্মচারী মোঃ আল-আমিন (২৭) সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছে। এ সময় আল-আমিনের বড় ভাই পৌর আ.লীগের সদস্য রজব আলী (৩৮) আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে পাবনা-সুজানগর সড়কের আতাইকুলা থানাধীন সাদুল্লাপুর নাম স্থানে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় নিহত আল-আমিন ও আহত রজব আলী উপজেলার রাধানগর গ্রামের আবদুস সাত্তার প্রামাণিকের ছেলে। আতাইকুলা থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দিন জানান, ওইদিন দুপুর ১টার দিকে ওই আল-আমিন ও রজব আলী পাবনা আমলী আদালত-৩’এ একটি মামলার সাক্ষী দিয়ে সিএনজিযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। সিএনজিটি পাবনা-সুজানগর সড়কের আতাইকুলা নামকস্থানে পৌঁছালে কতিপয় অজ্ঞাত সন্ত্রাসী সিএনজির গতিরোধ করে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আল-আমিনের মৃত্যু হয়। তবে নিহত আল-আমিনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জমিজমা নিয়ে সুজানগর পৌরসভার সাবেক মেয়র একই গ্রামের বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেন তোফা, জুয়েল রানা ও তার লোকজনের সাথে আল-আমিনের পরিবারের বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনায় সাবেক পৌর মেয়র তোফা ও তার ছোট ভাই ওই জুয়েল রানাকে দায়ী করে পৌর আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ মিছিল বের করার পাশাপাশি তোফার পৌর বাজারস্থ বাসা ঘেরাও করা হয়। পরে খবর পেয়ে সুজানগর থানা পুলিশের সহযোগিতায় পাবনা ডিবি পুলিশ ও আতাইকুলা থানা পুলিশের একটি দল তোফা এবং জুয়েলসহ চার ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আতাইকুলা থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে আতাইকুলা থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দিন জানান। অন্যদিকে এ ঘটনায় সুজানগর পৌরসভার পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করার পাশাপাশি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়েছে।