মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের নদী বি”িছন্ন জনপদ চরবলাকী। সেখানকার অধিবাসীদের নিজেদের ইউনিয়ন পরিষদ কার্যলয় ও উপজেলা সদরে আসতে হলে মেঘনা নদী পাড়ি দেয়া ছাড়া কোন বিকল্প পথ নেই। জানাযায়, যুগ যুগ ধরে চরবলাকী গ্রামবাসী খেয়া নৌকা ও সম্প্রতি ইঞ্জিন চালিত নৌকায় চড়ে মেঘনা নদী পারাপার হয়ে থাকে। ¯’ানীয়দের দাবী, সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন চরবলাকী-ভবানীপুর খেয়া ঘাটটি সরকারী ভাবে ইজারা প্রথার আওতায় নিয়ে আসার পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন।এবিষয়ে ¯’ানীয় ইউপি সদস্য নবী হোসেন জানান, বিশাল মেঘনা নদী ইঞ্জিন নৌকায় জন প্রতি ১০ টাকায় খেয়া পারাপার হয় মানুষ। ঘাট ইজারা হলে নদী বেষ্টিত চর এলাকার মানুষের খেয়া পারাপার ভাড়া বৃদ্ধি পেলে ভোগান্তীতে পড়তে হবে চর অঞ্চলের সাধারণ জনগণ। স্থনীয় বাসিন্দা ষাটোর্ধ সহিদ মিয়া, রবিউল আউয়াল ও মোহাম্মদ আলী বলেন, গ্রামবাসী বছরের একটি নিদিষ্ট সময়ে আলোচনার মাধ্যমে গ্রামবাসীকে কম টাকায় নদী পার হতে মাঝি
মনোনীত করে। সরকারী কোষাগারে নিদিষ্ট পরিমান টাকা জমা দিয়ে নদী পার করতে মাঝিরা বর্তমানের চাইতে বেশী টাকা দাবী করলে আমরা বিপাকে পড়বো।
এদিকে গজারিয়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসন কার্যলয়ের
নির্দেশনা মতো উপজেলার ইজারা যোগ্য খেয়া ঘাটের নতুন তালিকা প্র¯‘ত করা হযেছে।