সন্ত্রাসী হামলায় নিহত পাবনার সুজানগর পৌসভার টিকাদান কর্মচারী আল-আমিন হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সুজানগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠান শেষে ভবানীপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে সুজানগর পৌরসভার পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা করা হয়। আলোচনায় অংশ নেন পাবনা-২আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন, পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মাসুদ আলম, পৌর মেয়র রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ। মরহুমের জানাজা নামাজে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও এলাকার শত শত ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশ নেন। এ ছাড়া এদিন মরহুমের স্মরণে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কালোব্যাজ ধারণ এবং কর্মবিরতি পালন করেন। উল্লেখ্য গত সোমবার দুপুরে উপজেলার রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা মৃত- আবদুস সাত্তার প্রামাণিকের ছেলে ওই আল-আমি ও তার বড় ভাই পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য পাবনা আমলী আদালত-৩’এ একটি মামলার সাক্ষী দিয়ে সিএনজিযোগে বাড়ি ফেরার সময় পাবনা-সুজানগর সড়কের আতাইকুলা নামকস্থানে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আল-আমিনের মৃত্যু হয়। এ সময় তার ভাই রজব আলীকে অশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সুজানগর পৌরসভার সাবেক মেয়র একই গ্রামের বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেন তোফা ও তার ছোট ভাই জুয়েল রানা ওই হামলা চালিয়েছে বলে আল-আমিনের পরিবারের দাবি।