বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের উৎপাদিত নাপা সিরাপ বিক্রির সরকারি সিদ্ধান্ত মেনেছে খুলনার চার হাজার ৭২১টি ফার্মেসি মালিক। ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংগঠন কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি সরকারি সিদ্ধান্ত মানার জন্য ফার্মেসি মালিকদের উৎসাহিত করে। নগরীর ফারাজিপাড়াস্থ বেক্সিমকোর ডিপোতে ওষুধ প্রশাসনের অভিযানে ডিসেম্বর ব্যাচে উৎপাদিত নাপা’র মজুদ পাওয়া যায়নি। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ব্রাক্ষণ বাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে নাপা সিরাপ পানে দুই সহোদরের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে সারাদেশে এ ব্যাচের ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় গবেষণাগারে পাঠানো হচ্ছে। ওষুধ প্রশাসন খুলনা অফিসের সহকারী পরিচালক মো. মনিরউদ্দিন আহমেদ জানান, বেক্সিমকোর ডিসেম্বর ব্যাচে উৎপাদিত (নম্বর ৩২১১৩১২১) নাপা সিরাপের মজুদ বেক্সিমকো খুলনার ডিপোতে পাওয়া যায়নি। তিনি জানান, এ ব্যাচে ২৪শ’ ফাইল খুলনাতে পাঠানো হয়। একই ওষুধের অন্যন্য ব্যাচের সিরাপ সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, লাইসেন্সপ্রাপ্ত খুলনা জেলার চার হাজার সাতশ’ একুশ ফার্মেসির মালিক নাপা বন্ধের সিদ্ধান্ত মেনেছেন। তিনি পাইকগাছা ও ফুলতলা উপজেলার একাধিক ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে নাপার মজুদ পাননি। বিএমএর কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. নিয়াজ মুস্তাফিজ বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে প্রেসক্রিপশনে নাপা ওষুধ লেখা বন্ধ করা হয়েছে।
নগরীর ময়লাপোতার জাহিদ ফার্মেসির সেলসম্যান অনুপ ম-ল জানান, সরকারি সিদ্ধানুযায়ী নাপা সিরাপ বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে। এ ফার্মেসিতে উল্লিখিত ব্যাচের উৎপাদিত কোন সিরাপ মজুদ নেই। একই মোড়ের এ্যানিমা ফার্মেসির মালিক জয়ন্ত কুমার ম-ল জানান, ওষুধ প্রশাসন ও কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির পরামর্শনুযায়ী বেক্সিমকোর উল্লিখিত ব্যাচের ওষুধ বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত : দেশে ভেজাল ওষুধ খেয়ে ২০০৯ সালে শিশু মৃত্যুর উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে। সে সময় রিট ফার্মা প্যারাসিটামল সিরাপ পান করে ২৮ শিশুর মৃত্যু হয়।