বাগমারায় বছর কয়েক ধরেই শুরু হয়েছে বানিজ্যিক ভাবে লিচু চাষ। গড়েও ওঠেছে বেশ কিছু লিচু বাগান। এসব লিচু বাগান এখন মুকুলে ছেয়ে গেছে। চাষীরা এখন উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে মুকুলের পরিচর্যা শুরু করেছেন। অনেকে বাসাবাড়ির আঙ্গিনাতেও ছোট আকারে লিচু বাগান শুরু করে বেশ লাভবান হয়েছেন।
সম্প্রতি উপজেলার মাড়িয়া গোয়ালকান্দি ও হামিরকুৎসা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সেখানে বানিজ্যিক ভাবে লিচু বাগান শুরু করেছেন অনেকে। বাগান গুলোতে এখন মুকুলে ছেয়ে গেছে। বলা যায় উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামটি লিচু বাগানের জন্য বেশ পরিচিত। এই গ্রামেরই বাসিন্দা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি বিগত তিন বছর আগে স্বল্পপরিসরে লিচু বাগান শুরু করেছিলেন। বর্তমানে সাড়ে তিনবিঘা জমিতে বাগান সম্প্রসারন করেছেন। আসাদ ভাইয়ের এসব বাগান এখন মুকুলে ছেয়ে গেছে। তিনি জানান, লিচু বাগান করে অল্প পরিশ্রমে বেশি লাভবান হওয়া যায়। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি নিজেই এসব বাগানের পরিচর্যা করে। একই গ্রামের আরেক লিচু চাষী লুৎফর রহমান। তিনি জানান, এবার লিচুর মুকুল আসার পর কিছুটা বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বৃষ্টিপাতে লিচু বাগানের ব্যাপক উপকার হয়েছে। মুকুল গুলো শক্ত হয়েছে। এবার লিচুর বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। গোয়ালকান্দির আরেক লিচু চাষী আহাদ আলী বলেন, পাঁচ বছর ধরে তিনি লিচুর বাগান করছেন। দুই বিঘা জমিতে লিচু এই বাগান গড়ে তুলেছেন। এবার তার বাগানের প্রত্যেকটি গাছে মুকুল এসেছে। তিনি কৃষি বিভাগের পরামর্শে এখনই এসব বাগানের পরিচর্যা শুরু করেছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক জানান, এই উপজেলায় প্রায় বিশ হেক্টর জমিতে লিচু বাগান রয়েছে। আমের চেয়ে লিচু বাগান করে ব্যাপক লাভবান হওয়ায় অনেক কৃষক এখন লিচু বাগানের প্রতি ঝুকে পড়েছেন। আমরা কৃষকদের উন্নত লিচু চাষ ও বাগান পরিচর্যার বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।