বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে গ্রেপ্তারী পরোয়ানাভূক্ত আসামীকে ছিনতাই করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে পুলিশ ১ বছরের সাজা প্রাপ্ত আসামীসহ এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। গত সোমবার রাত ৮টার দিকে ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের জোড়গাছা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। তবে স্থানীয়রা বলছেন, গ্রেপ্তারের সময় পুলিশ অদক্ষতার পরিচয় দেওয়ায় আসামি সটকে পরেছিলো। প্রত্যক্ষদর্শী ছাইফুল ইসলাম ও এনামুল করিম পুটু জানিয়েছেন, ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের জোড়গাছা উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে মো: আবদুল রাজ্জাক ১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। জমি সংক্রান্ত মামলার রায়ে তার ১ বছরের সাজা হয়। গত ৮ মাস পূর্বে সাজার বোঝা মাথায় নিয়ে রাজ্জাক এতদিন ঘুরছিলেন। খবর পেয়ে গত সোমবার রাত ৮টার দিকে সারিয়াকান্দি থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এ.এস.আই) জানে আলম সংগীয় ফোর্স সহ তাকে ধরতে আসেন। বাজারের স্ট্যান্ড এলাকায় সে ঘোরাফেরা করার সময় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় স্থানীয়রা পুলিশের কাছে গ্রেপ্তারের কারণ জানতে চান এবং গ্রেপ্তারী পরোয়ানা দেখাতে বলেন। কিন্তু এ সময় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এ.এস.আই) জানে আলম তা দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং স্থানীয়দের মধ্যে হৈ-চৈ শুরু হয়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি আবদুর রাজ্জাক অবস্থা বুঝে এ সময় সটকে পরেন। খবর পেয়ে সারিয়াকান্দি থানা থেকে এস.আই. মাহবুব হাসান, এস.আই. হোসেন আলী, এস.আই. রবিউল করিম সহ একদল ফোর্স ঘটনাস্থানে হাজির হন। পরে অনেক খোজা-খুজির পর রাতেই তাকে পুনরায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) লাল মিয়া বলেন, আসামি সটকে পরেনি তাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিলো। এ অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, আবদুর রাজ্জাক (৬৫), সদ্য শপথ নেয়া ইউপি সদস্য সোহেল রানা হামিদ (৫০), ওমর আলী (৪৫), সাফি আলম (৩৫) ও সোহেল রানা (৩৮)কে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই জোড়গাছা এলাকার বাসিন্দা। গ্রেপ্তাকৃতরা ছাড়াও ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-২। মঙ্গলবার দুপুরে কোর্টের মাধ্যমে তাদেরকে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ভেলাবাড়ী ইউপি চেয়াম্যান মোঃ রুবেল উদ্দিন বলেছেন, পুলিশের অদক্ষতার কারণে ঘটনাটি ঘটেছে। গ্রেপ্তারী পরোয়ানা দেখতে চাইলে স্থানীয়দেরকে তা দেখাতে না পারায় প্রথমে পুলিশ এলাকাবাসীর তোপের মুখে পরেন। আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেনি।