“বাংলাদেশে মসলা জাতীয় ফসলের গবেষণা জোড়দারকরণ” প্রকল্পের অর্থায়নে ও মসলা গবেষণা উপ-কেন্দ্র, ফরিদপুরের ব্যবস্থাপনায় আদর্শ কৃষক মো. আলম ব্যাপারীর মাঠে বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল মসলা ফসলের উৎপাদন ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের উপর কৃষক প্রশিক্ষণ ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে ফরিদপুর সদর উপজেলার নরসিংহদিয়া গ্রামে এ প্রশিক্ষণ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষক সমাবেশে স্বাগত বক্তব্যে রাখেন মসলা গবেষণা উপ-কেন্দ্র ফরিদপুরের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলাউদ্দিন খান। এ প্রশিক্ষণ ও সমাবেশ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মসলা গবেষণা উপ-কেন্দ্র ফরিদপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: মুশফিকুর রহমান।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, কৃষি বিজ্ঞানী ড. দেবাশীষ সরকার।
এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা ডাল গবেষণা ন্দ্রের পরিচালক ড. মহি উদ্দিন, আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্র গাজীপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হরিদাস চন্দ্র মোহন্ত, মসলা গবেষণা কেন্দ্র বগুড়ার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাজহারুল আনোয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুরের উপপরিচালক ড. মো. হজরত আলী।
স্বাগত বক্তব্যে ড. মো. আলাউদ্দিন খান বলেন, মসলা গবেষণা উপ-কেন্দ্র, ফরিদপুর থেকে পেঁয়াজ, রসুন, হলুদ, কালোজিরা, ধনিয়া সহ বিভিন্ন মসলা ফসলের উচ্চফলনশীল বীজ কৃষক এর মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাদের মদ্যে অন্যতম আদর্শ কৃষক মো. আলম ব্যাপারী। চলতি ম্যেসুমে মসলা গবেষণা উপ-কেন্দ্র ফরিদপুরের সহযোগীতায় প্রায় ১৩৬ বিঘা জমিতে বারি পেঁয়াজ-৫, বারি পেঁয়াজ-৪, বারি কালোজিরা-১, বারি ধনিয়া-২, বারি হলুদ-৪ সহ বিভিন্ন মসলা ফসলের চাষ করেছেন।
মসলা গবেষণা উপ-কেন্দ্র, ফরিদপুরের সরবরাহকৃত বারি উদ্ভাবিত বীজ বপন যন্ত্র দ্বারা তিনি পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ফসল বপন করে লাভবান হয়েছেন বলে তিনি জানান।
কৃষক সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আঞ্চলকি কৃষি গবষেণা কন্দ্রে, বরশিালের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফি উদ্দিন।