করোনার মহামারির কারণে প্রায় দুই বছর ধরে বন্ধ থাকা বাংলাদেশ-ভারত আন্তঃদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন আগামী ২৬ মার্চ থেকে ফের চালু হতে পারে। ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ট্রেন চালুর প্রস্তাব এসেছে।
বুধবার বাংলাদেশে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আগামী রোববার আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে, কবে নাগাদ ট্রেন চালু হবে সে বিষয়ে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৬ মার্চ ট্রেন চালু হতে পারে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বর্তমানে তিনটি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। ঢাকা-কলকাতা রুটে চলে ২০০৮ সালে চালু হওয়া 'মৈত্রী এক্সপ্রেস'। খুলনা-কলকাতা রুটে চলে 'বন্ধন এক্সপ্রেস'। ঢাকা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি রুটে 'মিতালি এক্সপ্রেস' নামের আরেকটি ট্রেন ২০২০ সালের ২৬ মার্চ উদ্বোধন করা হলেও, করোনার কারণে ট্রেনটিতে এখন পর্যন্ত কোনো যাত্রী পরিবহন করা হয়নি।
ঢাকা-কলকাতার দূরত্ব ৩৭৫ কিলোমিটার। এ রুটের যাত্রীপ্রতি ভাড়া ট্রাভেল ট্যাক্সসহ এসি সিটে তিন হাজার ৫০৫ টাকা ও এসি চেয়ার দুই হাজার ৫০৫ টাকা। খুলনা-কলকাতা রেলপথের দূরত্ব ১৭২ কিলোমিটার। এ রুটের যাত্রীপ্রতি ট্রেন ভাড়া ট্রাভেল ট্যাক্সসহ এসি সিট দুই হাজার পাঁচ টাকা ও এসি চেয়ার এক হাজার ৫০৫ টাকা।
করোনায় যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ থাকলেও করোনাকালে বাংলাদেশ-ভারতে রেলপথে পণ্য পরিবহন করা হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে ভারত থেকে রেলপথে পণ্য আমদানি হয় ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার মেট্রিক টন। আগের অর্থবছর আমদানির পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন।