খুলনার পাইকগাছায় একটি পৌরসভা ও ১০ ইউনিয়নে টিসিবি পণ্য পাবে ১৭ হাজার ৯৩২ পরিবার। জেলা প্রশাসকের নির্দেশায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে হচ্ছে। কোভিড পরিস্থিতিতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় কমে যাওয়া ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক সারা দেশে ১ কোটি নিম্ন-আয়ের মানুষ ভুর্তকির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ পণ্য পৌঁছে দেয়ার কর্মসূচির অংশ হিসাবে পাইকগাছায় ১০ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভায় মোট ১৭ হাজার ৯৩২টি পরিবার টিসিবি'র পণ্য কেনার সুযোগ পাচ্ছে। এসকল পরিবারকে টিসিবি'র পণ্য কেনার জন্য দেয়া হয়েছে একটি করে কার্ড। সকল কার্ড ধারীদের মাঝে ২০ মার্চ থেকে পণ্য বিতারণ শুরু হবে। কার্ডধারীরা লাইনে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করতে পারবে ন্যায্যমূল্যে টিসিবি পণ্য। নিম্ন-আয়ের প্রতিটি পরিবার কার্ডের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে রমজানের আগে একবার দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি চিনি, দুই কেজি মসুর ডাল ও এক কেজি ছোলা পাবে। আবার রমজানের মাঝামাঝি সময় থেকে ঈদের আগ পর্যন্ত একই পরিমাণ পণ্য আরেক দফা দেওয়া হবে পরিবারগুলোকে। এছাড়া, কোনো কোনো এলাকায় আমদানি করা পেঁয়াজ ও খেজুরও দেওয়া হবে। প্রত্যেকটি কার্ডধারী ৫৬০ টাকার প্যাকেজে পাবে ১১০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন, ৬৫ টাকা দরে ২ কেজি ডাউল ও ৫৫ টাকা দরে ২ কেজি চিনি। উপজেলায় মোট ১৭ হাজার ৯৩২ পরিবারকে টিসিবি কার্ড দেওয়া হচ্ছে। তারমধ্যে পৌরসভায় ১ হাজার ৬শ’ ৪১টি, হরিঢালী ইউনিয়নে ১ হাজার ৫শ ৮০, কপিলমুনি ইউনিয়নে ২ হাজার ১শ ৬২, লতা ইউনিয়নে ৭শ ১২, দেলুটি ৯শ’ ৬২, সোলাদানা ইউনিয়নে ১ হাজার ৪শ’ ৩০, লস্কর ইউনিয়নে ১ হাজার ৩শ’ ৬২, গদাইপুর ইউনিয়নে ১ হাজার ৫শ’ ৪৭, রাড়-লী ইউনিয়নে ২ হাজার ১শ’ ৮০, চাঁদখালী ইউনিয়নে ২ হাজার ৮শ’ ৮০, গড়ইখালী ইউনিয়নে ১হাজার ৪শ’ ৭৬টি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম জানান, নিম্ন-আয়ের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটা বাস্তবায়নে অংশীদার হতে পেরে নিজে গর্বিত মনে করছি। সফল করতে জনপ্রতিনিধি সহ সকলে একযোগে কাজ করছে। ন্যায্যমূল্যে টিসিবি পণ্য সরবরাহে কোনো অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো প্রকার ছাড়ের সুযোগ নেই।