বাগেরহাটের চিতলমারীতে পিতার প্রদত্ত রেজিষ্ট্রি সম্পত্তিতে জোর দখলে ইমারত নির্মান করা। সেখানে অবস্থিত মনসা মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতাও সেবায়েতকে প্ূঁজা করতে বাঁধা প্রদান। এবং ভক্তদের পূজারজন্য মন্দিরটি উমুক্ত করে না দিয়ে একটি বদ্ধ ইমারতের মাঝে কুক্ষিগত করা। ও সদর বাজারের সাহা পট্রিতে সাড়ে ৬ শতক সম্পত্তি জোর করে দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ শ্রীবাস সাহা,দেবাশীষ সাহাও মনি রানী সাহার বিরুদ্ধে।
এব্যপারে সদর চিতলমারী বাজারস্থ মৃত: জগবন্ধু সাহার ছেলে হরেকৃষ্ণ সাহা জানান, তার পিতা জগবন্ধু সাহা জীবিত থাকাকালিন তিনি পিতাকে পরমভক্তিতে সেবা যতœ করতেন। একইসাথে পিতাকে সন্তুষ্টের জন্য তিনি তার বাস্তভিটায় একটা মনসা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে বৃদ্ধ জগবন্ধু সাহা ও তার পরিবার মনসা পুঁজো করতেন। ছেলের এই মহানুভবতায় তার পিতা সন্তুষ্ট হয়ে মৃত্যুরপুর্বে, চিতলমারী সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে গিয়ে ৮নং কুরমনি মৌজার সাবেক ১০৫ নং হাল ৯২/ ১ নং খতিয়ানের ২৭০/২৭৬ দাগের সাড়ে ৬ শতক বাস্ত সম্পত্তি দান দলিল সম্পন্ন করে দেন ছেলে হরেকৃষ্ণ সাহার নামে। যার দলিল নং- ২৩৬১, তারিখ-০৩/১০/১৯৯১ সাল।
এমতাবস্থায় দীর্ঘদিন যাবত হরেকৃষ্ণ সাহার প্রতিপক্ষ ( শরিক) শ্রীবাস সাহা,দেবাশীষ সাহাও মনি রানী সাহা তাকেও তার পরিবারের সদস্যদের জোর বিভিন্ন সময় মারপিট,হুমকি-ধামকি ঘরদরজা ভাংচুর সহ হাজার হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে আসছেন। এবং মন্দিরে তারা পূজা অর্চনা দিতে বাঁধা প্রদান করেছে।
এব্যপারে ভুক্তভোগি হরেকৃষ্ণ সাহা প্রতিকার চেয়ে ২৩/০১/২০২২ তারিখ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বরাবর,২৩/০১/২০২২ তারিখ, বাগেরহাট -১ আসনের মাননীয় এমপি মহোদয় বরাবর,১৬/০১/২০২২ তারিখ, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর,১৬/০১/২০২২তারিখ বাগেরহাট পুলিশ সুপার মহোদয় সহ প্রশাসনে বিভিন্ন দপ্তরে তার বসতঘরসহ প্রতিষ্ঠিত মন্দিরে স্থায়ী ভাবে শান্তিতে যাতে পূঁজা করতে পারেন, সে ব্যপারে প্রতিকার কামনা করেছেন।
এব্যপারে শ্রীবাস সাহা জানান, মন্দিরের এক শতক জায়গা নিয়ে সে প্রায়ই বিরোধ সৃষ্টি করে আসছে।তার এখানে কোন সম্পত্তি নাই সব সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছে।
এব্যপারে চিতলমারী উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি আলিপ সাহা (কালা) জানান, জায়গা নিয়ে ভাইদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে দন্দ চলছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক ভাবে মিমাংশার চেষ্টা করা হচ্ছে। মিমাংশা হলে ভক্তদেরজন্য মন্দিরটি সম্পুর্ন ভাবে উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।