রাজশাহী পুঠিয়ায় গরীব দুস্থ্য মহিলাদের ভিজিডি খাদ্য তালিকায় নাম লিখাতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার জুড়ে ভুক্তভোগিরা বলছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা টাকার বিনিময়ে তাদের পছন্দ মতো নারীদের নাম তালিকায় রাখছেন। যারা তাদের চাহিদা মতো টাকা দিতে পাড়ছে,শুধুমাত্র তাদেরকে সুপারিশ কারছেন সংশ্লিষ্ট অফিসে। আর টাকা না দিলে বিভিন্ন অজুহাতে ভিজিডি খাদ্য পাওয়ার যোগ্য মহিলাদের নামের তালিকা হতে বাদ দেওয়া হচ্ছে। দেখা গেছে,পশ্চিম জিউপাড়া এলাকার হাবিবুর আলীর স্ত্রী সুফিয়া বেগমের নিকট থেকে দুই হাজার টাকা এবং সান্টুর স্ত্রীর নিকট থেকে সাত হাজার টাকা ৭.৮.৯ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য হেলেনা বেগমের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হাবিবুর আলী বলেন, আমারা দুই প্রতিবেশীর মিলে নয় হাজার টাকা মহিলা মেম্বার হেলেনা আপাকে ভিজিডি খাদ্য কার্ড করার জন্য দিয়েছি। তিনি এখনো পর্যন্ত কার্ড দেয়নি। আবার টাকা ফেরত চাইলে বলেন, টাকা দিতে দেরি হবে,কিছুদিন ধৈর্য ধরেন। জিউপাড়া ইউনিয়নের মতো উপজেলার ছয়টি ্ইউপি এবং পৌরসভা এলাকায় চিত্র একই রকম। জনপ্রতিনিধিরা অতি গোপনে টাকা বিনিময়ে স্বচ্ছলদের ভিজিডির তালিকায় রাখার অভিযোগ রয়েছে। টাকা দিয়ে ভিজিডি কার্ড দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মহিলা সদস্য হেলেনা বেগম বলেন, আমি বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। ভুক্তভোগির তথ্য প্রমাণ থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি কিছু জানি না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তিরা বলেন, জনপ্রতিনিধিরা ভোট করার সময়ে জনগনের পিছনে অনেক টাকা খরচ করে থাকেন বলে শুনা যায়। আর ভোটে জয়লাভ করার পর ভোটে খরচ করার ডবল টাকা উঠানো চেষ্টা করে থাকেন। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধা নিতে হলে সাধারণ জনগনকে টাকা দিয়ে নিতে হয়। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ডালিয়া পারভীন বলেন, যারা টাকা দেয় তারা এক ধরনের অপরাধী। আমি মাঠ পর্যায়ে যখন যায়। তখন সবাইকে বারবার আমি বলি গরীব দুস্থদের ভিজিডির কার্ড বাবদ কাউকে কোনো টাকা দিবেন না। এবং কেউ যদি টাকা চাই আপনারা সরাসরি আমার নিকট এসে অভিযোগ করবেন। এ ব্যাপারে জিউপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা বেগম বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না। আর আমি মেম্বারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানব।