নীলফামারী সদরের চওড়া বড়গছা কাঞ্চনপাড়ার মুরগির খামারে বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকা পড়ে মরে গেছে ভারতীয় একটি চিতা বাঘ। ক্ষুধার্ত বাঘটি রাতের অন্ধাকারে আশিক রুদ্র পোল্ট্রি ফার্মে ঢুকতে চেষ্টা করলে ওই দূর্ঘটনা ঘটে। তবে জোড়াবেঁধে আসা আর একটি বাঘ পাশের ভু’ট্টা ক্ষেতে অবস্থান করায় আতঙ্কে রয়েছে স্থানীয়রা। বাঘটি উদ্ধারে কাজ করছে রংপুর থেকে আসা বনবিভাগের একটি টিম। এমতাবস্তায় স্থানীয়দের সর্তক করছেন প্রশাসন। লোকবল সংকটে প্রাথমিক ভাবে খাঁচা তৈরী করে বাঘটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে রংপুর থেকে আসা বন অধিদপ্তরের টিমটি। তাদের পক্ষে বাঘটি উদ্ধার সম্ভব না হলে ঢাকা থেকে টিম আসার কথা জানিয়েছেন টিমটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
১৯ মার্চ পর্যন্ত বাঘটি উদ্ধারে কাজ করছে রংপুর থেকে আসা বনবিভাগের একটি টিম।
নীলফামারী সদরের গোড়গ্রামে মুরগির খামারে পেতে রাখা বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে এক বাঘের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর চিতা বাঘটিকে বেঁধে ঝুলিয়ে উল্লাস করেন স্থানীয়রা। ১৮ মার্চ ভোরে সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের কাঞ্চনপাড়া এলাকা থেকে মৃত চিতা বাঘটি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা জানান, কাঞ্চনপাড়ার অলিয়ার রহমান মুরগি ব্যবসায়ী। প্রায়ই কোনো প্রাণী তার খামারের মুরগি খেয়ে যায়। এ কারণে তিনি খামারের পেছনে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে রাখেন। বৃহস্পতিবার রাতের কোনো একসময় ফাঁদে জড়িয়ে বাঘটির মৃত্যু হয়। অলিয়ার রহমান বলেন, ‘আমার খামারের পেছন দিকে জঙ্গল। মুরগি বাঁচাতে ওদিকে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পাতা ছিল। ভোরে চিৎকার শুনে দেখি বাঘ পড়ে আছে।’পাশ্ববর্তী ভুট্টা খেতের কৃষক গোলাম মোস্তফা বলেন, এ খামারের পাশের ভুট্টা খেতটি আমার। সকালে জানতে পারি অলিয়ার ভাইয়ের খামারের বিদ্যুৎতের ফাদেঁ একটি বাঘ মারা গেছে আর একটি বাঘ আমার ভুট্টা খেতে একটা বাঘ আছে তখন থেকে এখানে আছি। বাঘ দেখতে আসা রমেজা বেগম বলেন, বাঘ মরার কথা শুনে আসি দেখি বাঘটাকে রাস্তায় ঝুঁলে রাখা হয়েছে। ভয়ও কাজ করছে। আরেকটা বাঘ আছে, এলাকার মানুষকে কামোর দিবে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার বলেন, সকালে জানতে পারি দুইটি বাঘের সন্ধান পাওয়া গেছে একটি বাঘ বৈদ্যুতিক ফাঁদে মারা গেছে আরেকটা পার্শ্ববর্তী ভুট্টা খেতে আছে। সেটিকে উদ্ধার করার জন্য রংপুর থেকে স্পেশাল টিম কাজ করছে,আশা করি অন্য বাগটিকে ধরা যাবে। আমি এখানকার মানুষজনকে অনুরোধ করবো অতি উৎসাহী না হয়ে আপনারা নিরাপদে থাকেন যতক্ষণ পর্যন্ত আরেকটা বাঘ উদ্ধার না হয়।
জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা মোনায়েম খান বলেন, ‘এটি একটি লেপার্ড। ভারতীয় হতে পারে।