গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র গ্রামের জনৈক নবীর উদ্দিন (৫০) পাওনাদারের অত্যাচার থেকে বাঁচতে গিয়ে শেষ সম্বল বসতভিটা বিক্রি করে বর্তমানে আশ্রয় নিয়েছেন অন্যের পুকুর পাড়ে।
জানাগেছে ওই গ্রামের মৃত নবাব উদ্দিনের ছেলে দিন মজুর নবীর উদ্দিন ২ ছেলে ১ মেয়ে নিয়ে শ্রম বিক্রি করে কোন রকমে সংসার চালিয়ে আসছিল। নিয়তির নিষ্ঠুরতায় প্রথম স্ত্রী ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসায় ৮/৯ লাখ টাকা ব্যায় করেও তাকে বাঁচাতে পারেন নি। এছাড়া, বড় ছেলে নওরজ আদম ব্যপারীর খপ্পরে পরে ৫/৬ লাখ টাকা ব্যয় করে সৌদি আরবে চাকুরী করতে গেলেও সেখান কর্মস্থান না পেয়ে ২/৩ মাসের মধ্যেই ফিরে আসেন। হতদরিদ্র নবীর উদ্দিন স্ত্রীর সিকিৎসা, মেয়ের বিয়ে ও ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর অর্থ যোগান দেয় দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সুদের উপর ঋণ ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে। আশা ছিল সৌদিতে গিয়ে ছেলে কমর্ করে ঋণ পরিশোধ করবে। কিন্তু তা আর হয়ে উঠে নি। দিন দিন ঋণের বোঝা বাড়তে থাকাসহ দাদনদারদের চাপ এতই বেড়ে যায় যে, সে পালিয়ে থাকতেও পারছিলেন না। বাধ্য হয়ে শেষ সম্বল বসত ভিটা ১৬ শতক ১০ লাখ টাকায় প্রতিবেশী মৃত তয়েজ উদ্দিন ব্যাপারীর মেয়ে নুরজাহানের নিকট বিক্রয় করেন এবং ঋণ পরিশোধ করার চেষ্টা করেন।
এদিকে বসতভিটাসহ সবকিছু হারিয়ে নবীর উদ্দিন প্রতিবেশী শিমুল সরদারের পুকুর পাড়ে ড্যারা তুলে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। নবীর উদ্দিনের আজ করুন আকুতি ‘পাশ্ববর্তী সরকারী আশ্রয় কেন্দ্রে পরিত্যাক্ত জায়গায় তাঁর মাথা গোজার একটু থাই করে দেওয়া হোক’।