১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর অনুষ্ঠান ভিডিও করতে স্কুলে নিয়ে যাওয়া মোবাইল হাতে দেখে শিক্ষক দ্বারা নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ছাত্র। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার দিগদানা খোশালনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র হাসিবুর রহমান এমনটাই বললেন শনিবার দুপুরে। যশোর জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর শনিবার সকালে সন্তান নির্যাতনের বিচার চেয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাত্রের পিতা আজিজুর রহমান।
অভিযোগে জানা গেছে, ১৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন অনুষ্ঠানে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ না নেয়া এবং মোবাইল হাতে থাকায় তার কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নেয়। এতে ছাত্র - শিক্ষকের কথা কাটাকাটি হয়ে। এরপর শিক্ষক কামরুজ্জামান, অমল কুমার বিশ্বাস এবং জাহাঙ্গীর হোসেন ব্যাপক মারধর করেন। অনুষ্ঠান শেষে হাসিবুর পুনরায় মোবাইল চাইলে আবারও কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হলে স্কুল থেকে কিলোমিটার দূরে শিক্ষকবৃন্দ ছাত্রকে ধরে মারধরসহ অশ্রাব্য ভাষায় গালি গালাজ করেন। এ মারামারিতে যোগ দেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ কুমার। এ সকল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ছাত্রীদেরকে ইভটিজিং এর অভিযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ আছে।
ছাত্র প্রহৃতের ব্যাপারে কামরুজ্জামান, অমল ফোনে ভুল স্বীকার করেছেন। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোপাল কুমারকে ফোনে পাওয়া যায় নি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম জিল্লুর রশীদ বলেন- এ ধরনের কোন অভিযোগ পায়নি।
ছাত্রের দরিদ্র কৃষক পিতা বলেন - স্যারদের চাপে পড়ে অন লাইনে লেখাপড়া শেখাতে গিয়ে দেড় বছর আগে কারিতাস এনজিও থেকে ২৫০০০ টাকা লোন নিয়ে ২৩০০০ হাজার টাকায় মোবাইল কিনে দিয়ে বিপদে আছি।