খুলনার পাইকগাছায় কপিলমুনি বহুল আলোচিত দোকান ঘর নিয়ে মালিক ও ভাড়াটিয়া দ্বন্ধ প্রশাসনের হস্থক্ষেপে নিরাশন হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানা ওসি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান উভয় পক্ষ ও বাজার কমিটিকে নিয়ে এর নিষ্পত্তি করেন। জানা যায়, উপজেলার কপিলমুনি বাজারে ৩ শতক পেরিফেরী ভুক্ত সষ্পত্তি নাজমুল শাহাদাৎ সিদ্দিকী সরকারের নিকট থেকে ডিসিআর নিয়ে ভোগ দখলে রয়েছে। যেখানে নির্মিত দোকান ঘর তালা থানার গঙ্গারকোনা গ্রামের বিপ্রদাসের কাছে ভাড়া দেয়া হয়। ১৪২১ থেকে ১৪২৮ সালের ৩০ মাঘ পর্যন্ত চুক্তিপত্র করে দেয়া হয়। পেরিফেরীভুক্ত জমি হওয়ায় বিপ্রদাস নিজের নামে ডিসিআর নেওয়ার জন্য সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসে আবেদন করেন। যা নিয়ে মালিক ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। পরিশেষে ঘর মালিক নাজমুল শাহাদৎ সিদ্দিকী গত ৫ মার্চ বিকালে নিজের সম্পদ টিকিয়ে রাখার স্বার্থে কপিলমুনি বণিক সমিতি সহ স্থায়ীয়দের স্মরণাপন্ন হয়। শালিসি বৈঠাকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দার বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দদের উপস্থিতিতে সমঝতায় বসলে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় বিষয়টি ঝুলে থাকে। পরে উভয়ের মধ্যে আরও ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। ভূমি আপিল র্বোডের ৪নং শাখা থেকে শাখা প্রধান ও সিনিয়র সহকারী সচিব হোসনা অফরোজা কর্তৃক স্বাক্ষরিত ৩১.৮২.০০০০.১০৪.০৪.১২৬.২১-৩২৭ নং স্বারকে ৪-১২৬/২০২১ নং বন্দোবস্ত আপিল মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে নালিশী দোকানটি পূর্বাবস্থায় আনায়ন তথ্য আপিলকারীর পরিচালিত মা বস্ত্রালয়টি আপিলকারী বিপ্রদাশকে দখল বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। অবশেষে শনিবার সকালে ১৪ মার্চ এক আদেশের উপর ভিত্তি করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দার ইউএনও মমতাজ বেগম ও ওসি জিয়াউর রহমান জিয়ার উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ সমাধান করেন। কপিলমুনি বাজারে বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে সমঝোতা বৈঠক হয়। আগামী ৫ দিনের মধ্যে ঘর মালিক নাজমুস শাহাদাৎ সিদ্দিকী ভাড়াটিয়া বিপ্রদাস দেবনাথের নিকট থেকে অগ্রীম গ্রহণকৃত টাকা ফেরত দিলে ভাড়াটিয়া বিপ্রদাস ঘর ছেড়ে দেবেন এ সিদ্ধান্ত হয়।