কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার মৌকারা ইউনিয়নের আলিয়ারা গ্রামের আশোক আলীর ছেলে আবদুর রাজ্জাক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে, মামলা, হামলা ও অপপ্রচারের অভিযোগ তার ভাই মৃত ইসহাক মিয়ার মেয়ে মাহমুদা ইসরাত শিরিনের বিরুদ্ধে। ভূক্তভোগী আবদুর রাজ্জাক এ ঘটনায় নাঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আব্দুর রাজ্জাকের ভাতিজা মোহাম্মদ কামাল বলেন, আমার চাচাতো বোন মাহমুদা ইসরাত শিরিন আমাদের নিকট জমি পাবে বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অথচ আমার চাচা ইসহাক মিয়া মৃত্যুর পূর্বে ৫৫৩৩ ও ৫৬৮১ নং দলিলে আমার পিতা আবুল কাশেমের নিকট ১৮ শতক, স্বামীর মৃত্যুর পর ইসহাক মিয়ার স্ত্রী রহিমা আক্তার ৫৪৩২ নং দলিলে আমার পিতা আবুল কাশেম, চাচা আবদুল মালেক ও আবদুর রাজ্জাকের নিকট ৫ শতক এবং চাচাতো বোন মাহমুদা ইসরাত শিরিন ৯৪০১ নং দলিলে আমার পিতা আবুল কাশেমের নিকট ১৬ শতক জমি বিক্রি করে। তাদের বাকী ১৬ শতক সম্পত্তি মাঠে রয়েছে, ওই ১৬ শতক সম্পত্তি শিরিন আমাদের সাথে ১লাখ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে বায়না দলিল করে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমার ছোট ভাই ইসহাক মিয়া প্রবাসে মারা যাওয়ার পর আমরা লাশ দেশে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। পরে তার ক্যান্সার আক্রান্ত মেয়ে শিমুলের চিকিৎসায়ও আমরা সহযোগীতা করি। আমার ভাতিজি মাহমুদা ইসরাত শিরিন জোর পূর্বক আমার ও আমার ভাইদের দখলীয় আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা জায়গায় টিনের বেড়া দেয় ও গাছ কেটে ফেলে। পরে পুনঃরায় গাছ কাটতে গেলে আমি বাধা দিলে সে আমার ও আমার পুত্র বধূর উপর হামলা চালায়। পরে বিষয়টি নিয়ে উল্টো শিরিন এবং তার স্বামী আবদুল মমিন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করে ও আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালায়। এ ঘটনায় আমরাও থানায় অভিযোগ দায়ের করি। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভূক্তভোগী পরিবার।
নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন খন্দকার বলেন, দু’ পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রাহণ করা হবে।