নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে চর সৈয়দপুরের আল আমিননগর এলাকায় মরদেহটি ভেসে ওঠে।
ফায়ার সার্ভিস এ- সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন সমকালকে জানান, দুপুরে উদ্ধার করা মরদেহটি এক নারীর। তার নাম উম্মে খায়রুন ফাতেমা। বয়স ৪০ বছর। তিনি সোনাগাঁয়ের হাড়িয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত আট জনের মরদেহ উদ্ধার হলো বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান। তাদের কাছে নিখোঁজের তালিকায় এখনও চার জনের নাম রয়েছে। এরা হলেন- মুন্সিগঞ্জের হাতেম আলী, শিশু আরোহী, আব্দুল্লাহ আল জাবের ও জোবায়ের হোসেন।
তবে সোমবার সকালে উদ্ধার হওয়া মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এর আগে ডুবে যাওয়া এমভি আশরাফ উদ্দিন নামের লঞ্চটি ‘৫৫ হাত’ পানির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে লঞ্চটি টেনে তুলে নদীরে তীরে আলামিননগর এলাকায় রেখেছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ জানান, লঞ্চডুবির ঘটনায় প্রতিটি মরদেহের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। উদ্ধার কাজ এখনও চলছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। উদ্ধার কাজ শেষ হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় এমভি আশরাফ উদ্দিন নামে মুন্সীগঞ্জগামী একটি লঞ্চ ডুবে যায়। চর সৈয়দপুরের আল আমিননগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় ৭০ জন যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মুন্সীগঞ্জ যাচ্ছিল এমভি আশরাফ উদ্দিন। কিন্তু পথে এমভি রূপসী-৯ নামে একটি কার্গোবাহী জাহাজ লঞ্চটিকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি মুহূর্তের মধ্যেই ডুবে যায়।