নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় লঞ্চ ডুবির ঘটনায় নিহতদের মধ্যে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার দুই তরুণী রয়েছেন এরইমধ্যে মুন্সিগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজের ছাত্রী স্মৃতি রানীর লাশ পাওয়া গেছে কিন্তু তার ছোট বোন আরোহী রানীর লাশ এখনো বন্ধ পাওয়া যায়নি।
সকালবেলা সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কলেজ ছাত্রীর মা শিখা রানী প্রায় শোকে পাথর হয়ে গিয়েছে তিনি বলছেন আমি আমার ছোট মেয়ের লাশ ফেরত চাই তার দুই চোখে ছিল অশ্রু ভরা জল হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আক্তার হোসেন, এই পরিবারের সাথে দেখা করতে যান এবং তাদেরকে সান্তনা দেন তখন বারবার কলেজ ছাত্রীর মা আমি কিছুই চাই না শুধু আমার দুধের বাচ্চাকে ফেরত চাই এসব কথা বলে অজ্ঞান হয়ে যান।
তার বাবা জয়রাম রাজবংশী বলেন আমার বড় মেয়ের লাশ এনে হিন্দু রীতিমতো সৎকার করেছি তাই আমি আমার ছোট মেয়ের লাশ ফেরত চাই একথা বলে ফেল ফেল করে কেঁদে ফেলেন তিনি বলেন আমার আর কিছু রইল না এই দুইটা মেয়ে আমার ছিল এখন আমি কি নিয়ে বাচবো
গজারিয়ার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওই দুই তরুণের বাড়ি গজারিয়া উপজেলার ইসমানির চর গ্রামে। তারা সম্পর্কে আপন বোন বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় জয়রাম রাজবংশী মেয়ে বড় বোন স্মৃতি রানী (১৮) ছোট বোন আরোহী রানী(৩) নিহত হন তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ইসমানিচর গ্রামে নানির বাড়িতে নারায়ণগঞ্জ বেড়াতে যায় সেখান থেকে মুন্সিগঞ্জ হয়ে গজারিয়া লঞ্চে ঘাটে নামার কথা ছিল আসার সময় এই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হয়