নওগাঁর মান্দায় শবদেহ সৎকারে দীর্ঘদিন ধরে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের পাঁচ গ্রামের লোকজন। কবরস্থানের নির্ধারিত জায়গা না থাকায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের লোকজনও একইভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ অবস্থায় ধুমকুড়ি মহাশ্মশান সংস্কার ও কবরস্থানের জায়গা বরাদ্দের দাবিতে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করেন সম্প্রদায়ের লোকজন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঠাকুরমান্দা রঘুনাথ জিঁউ মন্দির কমিটির সভাপতি ও মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চন্দন কুমার মৈত্র। এ সময় ধুমকুড়ি মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি প্রদীপ কুমার প্রামানিক, সহসভাপতি সুদীপ্ত কুমার কুন্ডু, সদস্য ডা. সুকুমার প্রামানিক, অনিল কুমার সরকার, কাজল কুমার কুন্ডু, প্রদেশ কুমার সাহাসহ সম্প্রদায়ের অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে চন্দন কুমার মৈত্র বলেন, ধুমকুড়ি মহাশ্মশানে এলাকার কালিগ্রাম, কির্তলী, দেলুয়াবাড়ি, কালিসফা ও মহানগর গ্রামের লোকজন কয়েক পুরুষ ধরে শবদেহ সৎকার কাজে ব্যবহার করে আসছেন। সংস্কারের অভাবে এটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সম্প্রদায়ের লোকজনের চেষ্টায় কিছু কাজ করা হলেও ব্যবহার উপযোগী করে তোলা সম্ভব হয়নি। শ্মশানটি শবদেহ সৎকার উপযোগী করতে অনেক অর্থের প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, অত্র এলাকায় অনেক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবার বসবাস করেন। তাঁদের অনেকেরই নিজস্ব জমিজমা নেই। বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের লোকজনেরও একই অবস্থা। এ দুই সম্প্রদায়ের কেউ মারা গেলে তাঁদের কবর দেওয়া নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এ সময় অন্যের জমিতে কবরস্থ করতে হয় স্বজনদের।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয় ধুমকুড়ি মহাশ্মশানটি উপজেলার নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের দোডাঙ্গী মৌজায় অবস্থিত। এটি এক নম্বর খতিয়ানভুক্ত সম্পত্তি। যার আরএস দাগ নম্বর ৫৩। পরিমান ৪৩ শতক। সিএস এবং এসএ রেকর্ডেও হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যবহার্য শ্মশান হিসেবে উল্লেখ আছে। মাটি ভরাট করে উঁচু করা হলে এটি ব্যবহার উপযোগী হবে।
এ অবস্থায় ধুমকুড়ি মহাশ্মশান সংস্কারসহ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের লোকজনের কবরস্থানের জন্য সরকারি জায়গা বরাদ্দের দাবি জানানো হয়।