চলতি মৌসুমে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় সোনালী বর্ণসাজে সজ্জিত প্রায় গমের বাম্পার ফলন দেখে কৃষকদের মাঝে আনন্দের হাসি লক্ষ করা যাচ্ছে।
গত বছর গমের ফলন ও দাম আশানুরূপ পাওয়ায় এ বছর কৃষকরা অধিক জমিতে গমের চাষ করেছেন। সঠিক সময়ে কৃষি প্রনোদনার ভাল বীজ কৃষকদের নিকট পচে যাওয়ায় এবং সময়মত বীজ, সার ও কীটনাশক ব্যবহার করায় এ বছর কৃষক গত বছরের তুলনায় অধীক জমিতে গমের চাষ করেছেন। এছাড়া, পাটের দাম ভাল পাওয়ায় এ বছরও পাট চাষের ঝুকে পড়ার লক্ষ্যে কৃষকরা গমের জমিগুলো প্রস্তুত রাখতে গম চাষ বেশী করেছেন। আবহওয়ায় অনুকুলে থাকায় গমের বাম্পার ফলন দেখে কৃষকরা আনন্দের হাসি হাসছেন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে চলতি বছর ৯’শ ২০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে যা গত বছরের তুলেনায় ১’শ হেক্টর বেশী। উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৩ হাজার ৬’শ ৮০ মে.টন। তবে এ লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আঃ রাজ্জাক জানান। এদিকে বর্তমানে কাঁচা গমের বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২’শ টাকা। শুকনা গমের বাজার মূল্য চলছে ১ হাজার ২’শ থেকে ১ হাজার ৫’ টাকা।
গমচাষী বাদশা মিয়া, রেজাউল ইসলাম, মেরাজুলসহ অনেকে জানান, গমের বাজার মূল্য উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক বেশী হওয়ায় গম চাষে ঝুঁকে পরি। এছাড়া, গমের জমিতে পাট চাষ করা যায়। গত বছর পাটের মূল্য লাভজন হওয়ায় গম চাষের জমি এবছর বাড়িয়ে দিয়েছি। যাতে করে সঠিক সময়ে পাট চাষ করা যায়। উপজেলা কৃষি অফিস সঠিকভাবে তদারকি ও পরামর্শ দেওয়ায় আমরা এবছর গমের ভাল ফলন পাবো বলে আশাবাদি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাশিদুল কবির বলেন এ বছর চাষিরা গমের বাম্পার ফলন উপহার দিয়েছেন। আশা করছি গমের জমিগুলোতে এ বছর পাটের ভাল ফলন হবে।