নওগাঁর মান্দায় শিশু শিক্ষার্থী ইউসুফ আলীকে (১২) নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। শিশুটির বাবা রেজাউল ইসলাম সরদার বাদি হয়ে সোমবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
এদিকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে শিশু ইউসুফ আলীর ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার বিকেলে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ইউসুফ আলী উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের ভরট্ট কাঠেরডাঙ্গা গ্রামের রেজাউল ইসলাম সরদারের ছেলে। সে আন্ধারিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
জানাজায় আন্ধারিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিশু ইউসুফ আলী সহপাঠী, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন। উপস্থিত সকলেই নৃশংস এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোতাহার হোসেন বলেন, শিক্ষার্থী ইউসুফ আলী শান্ত স্বভাবের ছিল। কোনো শিক্ষার্থীর ঝগড়া-মারামারি করত না। পড়ালেখাতে মোটামুটি ভালো ছিল। এ ধরণের শান্ত স্বভাবের ছেলেকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে এটা মানতে পারছি না। এ খুনের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারসহ শাস্তির দাবি করছি।
ইউসুফের বাবা রেজাউল ইসলাম সরদার বলেন, ছেলে ইউসুফ কারো সঙ্গেই ঝামেলায় জড়াতো না। অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের ছিল। তাকে আর কোনদিন ফিরে পাব না। তবে ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক তাঁদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারসহ ফাঁসির দাবি করছি।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে শিশুটিকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহকৃত আলামতসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় নিয়ে মামলার তদন্ত কাজ শুরু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার বিকেল ৩টার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিরুদ্দেশ হয় শিশু ইউসুফ আলী। এর ১৮ ঘন্টা পর সোমবার সকাল ১০টার দিকে হাত বাঁধা অবস্থায় বুড়ির বিলের একটি ভুট্টার খেতে তার মরদেহ পাওয়া যায়। হত্যাকারীরা শিশুটির বাম চোখ উপড়িয়ে ফেলা হয়েছে। কেটে নেওয়া হয়েছে তার পুরুষাঙ্গ।