সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালে চাকুরীর অফার। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে চাকুরীও দেয়া হয়েছে চুক্তিভিত্তিক। বিনিময়ে হাতিয়ে নেয়া হয় কয়েক লাখ টাকা। এর সাথে সরাসরি জড়িত হাসপাতালের কতিপয় চিকিৎসক। এদিকে চাকুরী দেয়ার নামে ৩২ জনের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৪৫) ও তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস (৩৬) কে।
২১ মার্চ রাতে তাদের আটক করে চাকুরী প্রত্যাশিরা।পরে তারা নিয়ে যায় কুন্দল এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই স্বামী-স্ত্রীকে থানায় নিয়ে আসে।
পঞ্চগড় পাটোয়ারিপাড়ার জাহিদুল ইসলাম থাকেন ঢাকায়। তিনি গোল্ডেন সার্ভিস লিমিটেড কোম্পানি”র নির্বাহী পরিচালক দাবী করে বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালে চাকুরী দেয়ার নামে দিনাজপুর, সৈয়দপুর, জয়পুরহাট ও কুড়িগ্রামের ৩২ জনের কাছ থেকে ১৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। দুইজনকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে চুক্তিভিত্তিক ‘ওয়ার্ড বয়’ পদে চাকুরীও দেন। তাদের কাছ থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার করে ৭ লাখ টাকা নেন জাহিদুল নামে ওই পরিচালক।
নিয়োগ প্রাপ্ত দুজন হল দিনাজপুর বোচাগঞ্জ উপজেলার রুহিগাঁও গ্রামের মহেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে দুলাল চন্দ্র রায় (৩০) ও সিশেন চন্দ্র রায়ের ছেলে স্বপন চন্দ্র রায় (২৮)।
গত ১৭ মার্চ তারা যোগদান করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে। এভাবে ৩ থেকে ৫ লাখ করে টাকা নিয়ে আরও ৩ জনকে চাকুরী দেয়া হয়। কিন্তু মাস শেষে তারা যে বেতন পান তা দিয়ে নিজের পেট চলে না। তারা চাকুরী করবে না এমন কথা বলে টাকা ফেরত চাইলে তা দেয়া হবে না এমন কথা বলা হয়।
অপরপাশে ১৭ মার্চ চিরিরবন্দর উপজেলার বিন্যাকুড়ির আজিজার রহমানের ছেলে আতিকুর রহমানকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়োগপত্র প্রদান বাবদ ৫ লাখ টাকা দাবী করা হয়।কিন্তু আতিকুল সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষন করে বুঝতে পারে যে নিয়োগের নামে এটা প্রতারণা।
এ অবস্থায় চাকুরীর নিয়োগপত্র নিতে দাবীকৃত ৫ লাখ টাকা দেয়ার কথা বলে কৌশলে জাহিদুলকে সৈয়দপুরে ডেকে নেয় আতিকুর।
২১ মার্চ রাতে জাহিদুল স্বস্ত্রীক সৈয়দপুরে আসলে আরও অনেক চাকুরীপ্রার্থী জড়ো হয়ে তাদের আটক করে অগ্রীম টাকা ফেরত চায়। টাকা দিতে না পারলে তাদেরকে থানা পুলিশে দেয়া হয়।
আটক জাহিদুল ইসলাম বলেন, সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে লিখিত চুক্তির ভিত্তিতেই আমি জনবল নিয়োগ দিয়েছি। সেই আলোকেই হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসকের সুপারিশকৃত ১৬ জন জনবলসহ আমার নিয়োগকৃত ৭ জন কর্মরত।
উপ-পরিচালকের অনুমতিক্রমেই নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। তবে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা: মো: আব্দুল্লাহেল মাফি এটি অস্বীকার করেন।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবুল হাসনাত খান বলেন, আটক জাহিদুল চাকুরী দেয়ার নামে টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।