মঙ্গলবার সকালে মোবাইল ফোনে জানতে পারেন তার ছোট মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে শীতলক্ষ্যা নদীতে এবং তার বড় মেয়ের লাশ রাতে সৎকার করার পর আজ আবার ছোট মেয়ের লাশ সৎকার করা হলো ওই এলাকার শোকের ছায়া নেমে এসেছে ইউপি মেম্বার ইলিয়াস মিয়া বলেন তাদের অভাব সংসার চলত কিন্তু বড় মেয়েটা কে মুন্সিগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজে সেকেন্ড ইয়ারে লেখাপড়া করতো আশা ছিল লেখাপড়া শেষ করে ভালো একটা চাকরি করলে তাদের অভাব শেষ হয়ে যাবে কিন্তু নিয়তির আজ কোথায় নিয়ে গেল আমি দোয়া করি তারা যেন এই দুই মেয়ের শোক সহ্য করতে পারেন বাবা-মার আর কেহ রইল না এই দুইটা মেয়ে তাদের ছিল অবশেষে নানীর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে লাশ হয়ে তাদের গ্রামের বাড়িতে ফিরলেন।
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় লঞ্চ ডুবির ঘটনায় নিহতদের মধ্যে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার দুই তরুণী লাশ পাওয়া গেল
মুন্সিগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজের ছাত্রী স্মৃতি রাজবংশী ও ছোট বোন আরোহী রাজবংশী লাশ পাওয়া
সকালবেলা সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কলেজ ছাত্রীর মা শিখা রানী প্রায় শোকে পাথর হয়ে গিয়েছে তিনি বলছেন আমার দুই মেয়ের লাশ পেয়েছি কিন্তু ঘাতক জাহাজের স্টাফদের বিচার দাবি করছি যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের জন্য ফাঁসি হয়।
তার দুই চোখে ছিল অশ্রু ভরা জল তখন বারবার কলেজ ছাত্রীর মা আমি কিছুই চাই না শুধু ওদের ফাঁসি চাই।
তার বাবা জয়রাম রাজবংশী বলেন আমার দুই মেয়ের লাশ এনে হিন্দু রীতিমতো সৎকার করেছি তাই তিনি এখন প্রায় বাকরুদ্ধ হয়েছেন এবং বলেন যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের ফাঁসি চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এর বিচার প্রার্থনা করছেন এবং বলে ফেল ফেল করে কেঁদে ফেলেন তিনি বলেন আমার আর কিছু রইল না এই দুইটা মেয়ে আমার ছিল এখন আমি কি নিয়ে বাচবো
গজারিয়ার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওই দুই তরুণের বাড়ি গজারিয়া উপজেলার ইসমানির চর গ্রামে। তারা সম্পর্কে আপন বোন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় জয়রাম রাজবংশী মেয়ে বড় বোন স্মৃতি রাজবংশী (১৮) ছোট বোন আরোহী রাজবংশী(৩) নিহত হন তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ইসমানিচর গ্রামে
নানির বাড়িতে নারায়ণগঞ্জ বেড়াতে যায় সেখান থেকে মুন্সিগঞ্জ হয়ে গজারিয়া লঞ্চে ঘাটে নামার কথা ছিল আসার সময় এই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হয়।