শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চ ডুবির ঘটনায়, গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইসমানীর জেলে পাড়ার জয়রাম-শিখা রানী দম্পতির শিশু কন্যা আরোহীর সৎকার সম্পন্ন হয়েছে মঙ্গলবার দুপুরে।
আরোহীর পরিবারের বরাত দিয়ে হোসেন্দী ইউপি‘র ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ইলিয়াস মোল্লা তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এদিকে মঙ্গলবার নিয়মিত টহলের দিতে গিয়ে গজারিয়া উপজেলার গজারিয়া ইউপি‘র নয়ানগর গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদী হতে অজ্ঞাত যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে গজারিয়া ক্যাম্পের কোষ্ট গার্ডেও সদস্যরা।
গজারিয়া উপজেলা ক্যাম্পের কন্টিজেন্ট কমান্ডার এম লুৎফর রহমান তথ্যেও সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, অর্ধগলিত ২৫ থেকে ২৮ বছর বয়সী যুবকের লাশটি অর্ধগলিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরের নি¤œাংশে জিন্সের প্যান্ট পরিহিত।
কোষ্টগার্ড ধারনা, নারায়ণঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জগামী লঞ্চের ডুবে যাওয়া কোন যাত্রীর লাশ হতে পারে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, লঞ্চ ডুবে মৃত্যুবরনকারী সহোদও স্মৃতি ও আরোহীকে নাজিরচর এলাকার একই শ্মাশানে সৎকার করা হয়েছে। রোববার রাতে ও মঙ্গলবার দুপুরে দুই বোনের মরদেহ সৎকারের কারণে পুরো হোসেন্দী ইউনিয়ন জুড়ে শোকের ছায় নেমে এসেছে।
রোববার দুপুরে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চের যাত্রী ছিলনে সহোদর স্মৃতি রানীী রাজবংশী(১৭) ও আরোহী রাণী রাজবংশী(৬)।
নারায়ণগঞ্জের নানা বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলো দুই বোন স্মৃতি রানী (১৮) ও আরোহী রানী (৩)। বাড়ি ফেরার পথে শীতলক্ষ্যায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এমএল আশরাফ উদ্দিন ডুবে যাওয়ার ঘটনায় নিখোঁজ হয় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার ওই দুই বোন।
স্মৃতি রানী, সরকারি হরগঙ্গা কলেজের এইচএসসি পরিক্ষার্থী ছিল।