সামনে পবিত্র রজমান মাস। আর এ রমজান মাসকে পুঁজি করে এক শ্রেণীর লোভী ব্যবসায়ী মেতে উঠেছে অর্থ কামাইয়ের হুলি খেলায়। কোন কিছুই তোয়াক্কা না করে এরা নিজের ইচ্ছে মত পণ্যের দাম হাকাচ্ছে। এক সপ্তাহ পূর্বেও যে সকল পণ্যের দাম ২০ টাকা ছিল এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকার উপরে। নিয়ন্ত্রণহীন এ বাজারকে সামলাতে পারছে না কেউ। তাছাড়া এগুলো দেখার দায়িত্ব যাদের আজ তারাও নিরব ভূমিকায়। গতকাল শহরের রেলওয়ে গেটবাজার, পৌরসভার আধুনিক সবজি বাজার এবং কামারপুকুর বাজার ঘুরে সরেজমিনে লক্ষ্য করা গেছে দামের তারতম্য। বর্তমানে বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৫০ টাকা কেজি। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৪৫ টাকা। যা আগে ছিল ৩৫ টাকা। রসুন কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা যা পূর্বে ছিল ৪৫ টাকা। আদা প্রতিকেজি ২০০ টাকা। যা আগে ছিল ৬০ টাকা। এদিকে দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত পটল, করল্লা, পেপে, ঢেড়শ, শশা, কাকরোল, চিচিংগা, বেগুনসহ অনেক পণ্যের। কাঁচামাল ব্যবসায়ী হালিম,সমসের আলী, মানিক, আজিজুল ইসলাম, জিয়া, মাসুদসহ অনেকেই জানায়। দাম পড়ার কোন লক্ষণ নই। হঠাৎ করে দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে পেয়াজ, আদা, রসুন ও কাঁচা মরিচের। বাদ বাকি পন্যেরও দাম বেড়েছে তবে যৎ সামান্য। এ দাম আরও বাড়তে পারে বলে তাদের ধারণা। তবে অনেক সচেতন মানুষ দাবী তুলেছে সৈয়দপুর শহরে প্রত্যেকটা জিনিস দাম সময় মতো বাড়ে এবং তা কমে, এর কারণ হল ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। কাঁচা বাজারের প্রধান আড়তে যে দাম তার চেয়ে দ্বিগুণ দাম খুচরা বাজারে। পাইকারী বাজার থেকে খুচরা বাজারের দামের আকাশ পাতাল পার্থক্য। তাহলে কারা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে তা পরিষ্কার। তাই কাঁচা বাজার নিয়ন্ত্রন রাখতে এখানেও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা প্রয়োজন বলে অনেকের মতামত। তা না হলে আজ সাধারণ ক্রেতারা জিম্মি হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীদের কাছে। দামে বেশী ওজনে কম দু’দিক দিয়ে প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতাসাধারণ।
কাঁচামাল ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি জয়নাল জানান,বাজার একবার বেড়ে গেলে তা নামতে সময় লাগে। পঁচনশীল তরিতরকারী নিয়ে আমরা সব সময় একটা আতঙ্কে থাকি। একটু এদিক ওদিক হলে পথে বসতে হয় আমাদেরকে। যারা বড় বড় ব্যবসায়ি তাদের মাল পঁচে গেলে সামলিয়ে নিতে পারে কিন্তু আমরা যারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি তারা একবার ধাক্কা বা লোকসানে পড়লে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারি না।
তবে বাড়ার বিষয়টি নির্ভর করে সরবরাহের ওপর। যাতায়াত ভাড়া বৃদ্ধির কারণেও দামের তারতম্য হয়ে থাকে।
ক্রেতা সাংবাদিক বিপুল বাশার বলেন,বাজার নিয়ন্ত্রণ জরুরী হয়ে পড়েছে। সামনে পবিত্র রমজান। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে মানুষ বিপদে পড়বে। এভাবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ কেমন করে বেঁচে থাকবে।