শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঝিনাইদহে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ), ঝিনাইদহ জেলা শাখা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বৃধবার সকাল ১১.০০ টায় ঝিনাইদহ মুজিব চত্ত্বরে মোঃ আব্দুল মমিন-এর সভাপতিত্বে এবং মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মোঃ মহি উদ্দীন, সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, কেন্দ্রীয় কমিটি ও সভাপতি, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ঝিনাইদহ জেলা শাখা। মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন সুব্রত মল্লিক ,কে এম সালেহ,মোঃ মাসুদ করিম,মনিন্দ্র নাথ, শাহানাজ পারভীন, কৃপা সিন্ধু, শাহানাজ পারভীন, রেজাউল করিম, আব্দুর রাজ্জাক, খলিলুর রহমান শফিকুর রহমান মিলন,মশিয়ার রহমানসহ ঝিনাইদহ জেলার ৬ উপজেলা হতে সহস্রাধিক শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ। বক্তারা বলেন, বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা আজ মানবতার জীবন-যাপন করছে। পরিবার নিয়ে স¦াভাবিক জীবন চলছে না। তাই আজ আমরা বিদ্যালয় ছেড়ে রাস্তায় মানববন্ধনে দাড়াতে বাধ্য হয়েছি। আমরা বহুবার সরকারের নিকট শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণসহ বিভিন্ন দাবীর কথা বলেছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবী মানা হয়নি। দাবী গুলো হলো- শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ, সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়ী ভাড়া, ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান, পূর্ণাঙ্গ পেনশন প্রথা চালুকরণ এবং অবসর গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের পাওনা পরিশোধ করা, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করণ, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের “প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষক” এর বেতন স্কেল যথাক্রমে ৬ষ্ঠ ও ৭ম গ্রেডে প্রদান, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কমর্চারীদের বদলী প্রথা চালু করা, চাকরির বয়স সীমা ৬৫ বছরে উন্নীতকরণ, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ন্যায় শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন করা এবং শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আনুপাতিক হারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পদায়ন করা, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক প্রণোদনা এবং শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে শিক্ষা সহায়ক ডিভাইস প্রদান করা, ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডির সদস্যদের নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা, শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি ও বেসরকারি সকল বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে শিক্ষানীতি-২০১০ এর দ্রুত বাস্তবায়ন করা। বক্তারা আরো বলেন, দাবী বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে বেলা ১২.০০ টায় ১১ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রদান করা হয়েছে।