ঢাকাণ্ডচট্টগ্রাম মহাসড়কের ঠিক দক্ষিণে, মেঘনা সেতুর পূর্ব দক্ষিণে এবং ফুলদি নদী পাদদেশ ঘেঁসে সকল শিক্ষক শিক্ষার্থীর ভালোবাসা ও আবেগমথিত ভাটের চর দে.ঐ. মান্নান পাইল উচ্চ বিদ্যালয়টির ইতিহাস আকস্মিক ও চমকপ্রদ।
আজ থেকে অর্ধশতাব্দী পূর্বে সকল ভাটের চর, আনারপুরা; বালুয়াকান্দি, উত্তর শাহপুর, বৈদ্যারগাঁও, রায়পাড়া আড়ালিয়া, ভিটিকান্দি এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবকগণ অত্র এলাকায় গণমানুষের প্রাণের দাবিতে ১৯৭০ সনের মাঝামাঝি সময়ে ডা. আবদুল গাফফার খানের সভাপতিত্বে একটি মাধ্যমিক উচ্চবিদ্যালয় স্থাপনের জন্য একটি ‘এডহক’ কমিটির গঠন করেন।
১৯৭১ সালে জানুয়ারি মাসে ফুলদি নদীর তীরে মধ্য ভাটের চরে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়টি স্থাপনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন সর্ব জনাব দেওয়ান আবদুল মান্নান, ডা. গাফফার, রমিজউদ্দিন আহম্মেদ, শামছুল হক দেওয়ান প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ ১৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিদ্যালয়টি ১৯৭১ সালে তার পদযাত্রা শুরু করে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের কারণে পাঠদান বন্ধ হয়ে গেলে ১৯৭২ সালে পুনরায় স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়।
১৯৭৪ সালে মাত্র ৩৪ জন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের প্রথম এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। বিদ্যালয়ের পাঠদান স্বীকৃতির জন্য ৯ বিঘা জমির প্রয়োজন হলে জনাব দেওয়ান আবদুল মান্নান ওই জমি প্রদান করলে তার নামেই বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয়।
১৯৮৮ সালে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় বিদ্যালয়টির ৭টি কক্ষসহ বিজ্ঞান একাডেমিটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেলে এলাকাবাসীর সমর্থন ও সহযোগিতায় ১৯৮৯ সালে বিদ্যালয়ের তৎকালীন পরিচালক পর্ষদের সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান নতুন ভবন ঢাকাণ্ডচট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণপার্শ্বে স্থাপিত হয়।
বিগত ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩ সালে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা জনাব দে.এ. মান্নান সাহেব ইন্তেকাল করেন। প্রতিষ্ঠাতা। প্রধান শিক্ষক জনাব কবির আহমেদ মৃত্যুবরণ করেন। ২০০৫ইং সালে। গত ২১ আগস্ট, ২০১৪ সালে বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জনাব সামসুজ্জোহা ইন্তেকাল করেন। জনাব মু. শাহজাহান শিকদার গত ৯ অক্টোবর, ২০১৩ হতে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব
পালন করে আসছেন। বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জনাব সাখাওয়াত হোসেনের দক্ষ নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সমন্বয়ে বিদ্যালয়টি পরিচালিত হচ্ছে।
প্রধান অতিথি ডা. দীপু মনি, এমপি মাননীয় মন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। উদ্বোধক এ্যাড. মৃণাল কান্তি দাস, এমপি মাননীয় সংসদ সদস্য, মুন্সীগঞ্জ-৩ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিশেষ অতিথি
কাজী নাহিদ রসুল প্রফেসর ড. মো. আতাউর রহমান মিয়াজী জেলা প্রশাসক, মুন্সীগঞ্জ প্রফেসর ও সাবেক চেয়ারম্যান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, ঢাবি, আবদুল মোমেন, পিপিএম পুলিশ সুপার, মুন্সীগঞ্জ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ সাজ্জাদ হোসাইন, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এইছি। মহাপরিচালক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর আমিরুল ইসলাম চেয়ারম্যান, গজারিয়া উপজেলা পরিষদ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আমিরুল ইসলাম সিকদার পরিচালক, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার মো. রেফায়েত উল্লাহ খাঁন তোতা (সিআইপি) সাবেক চেয়রম্যান, গজারিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মেঘনা উপজেলা পরিষদ অধ্যাপক ডা. মাজহারুল হক তপন জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী পরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ
বেনজীর আহমেদ মুহাম্মদ মাহবুবুল হক উপ-সচিব, রেলপথ মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, মুন্সীগঞ্জ মু. শাহজাহান শিকদার মোঃ কামরুল হাছান ফরাজী
প্রধান শিক্ষক, ভাটের চর দে.এ. মান্নান পাইলট উচ্চবিদ্যালয় চেয়ারম্যান, টেঙ্গার চর ইউনিয়ন পরিষদ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন
আহবায়ক, সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি-২০২২ সভাপতি, ভাটের চর দে.এ. মান্নান পাইলট উচ্চবিদ্যালয় ও উপ-মহাব্যবস্থাপক, রূপালী ব্যাংক লি.।