বংশ পরম্পরায় রাজনৈতিক পরিবারে থেকেই উঠে এসেছেন হায়দার আলী। পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম হাসেম আলী সরকার ১৯৭০ সালে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী রাজনীতিতে গণমানুষের নেতায় পরিণত হয়েছিলেন। তারই সুযোগ্য ছেলে হায়দার আলী। দির্ঘ সময় ধরে রেলওয়ে শ্রমিকলীগের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় রাজনৈতিক কর্মকা- চালিয়ে আসছেন। পরিশ্রমী ও ত্যাগী এ নেতার প্রতি আস্থা রেখে চলেছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। আগামী ৩০ মার্চ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এত সভাপতি পদ প্রাপ্তির প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি। প্রায় ১৬ বছর পর উপজেলা আ.লীগের এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনকে ঘিরে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে বেশ উৎসবের আমেজ। পছন্দের নেতাকে বিভিন্ন পদে দেখতে চেয়ে রঙিন পোস্টার, ফেস্টুনের প্রচার চোখে পড়ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। পছন্দের নেতাদের নানা কর্মকা- উল্লেখ করে স্ট্যাটার্স দিচ্ছেন সমর্থকরা। এর মাঝে দির্ঘ সময় থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সার্বিক কর্মসূচীতে সরাসরি অংশগ্রহণ ছাড়াও সামাজিক জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্মকা-ে সক্রিয় ভাবে অংশ নিচ্ছেন হায়দার আলী। দলের সমর্থকরা বলেন, তৎকালীন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ ও নেতৃত্বদান করা হায়দার আলী পদে আসলে নেতাকর্মি উজ্জীবিত হবে। তারা মনে করেন, তার হাতে নেতৃত্ব আসলে দল চাঙ্গা হবে। তৃণমূল নেতাকর্মীরাও দলের জন্য কাজ করার পরিবেশ পাবে। পারিবারিক ভাবেই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এই নেতা। তার পিতা মরহুম বীরমুক্তিযোদ্ধা হাসেন আলী সরকার ১৯৩৯ হইতে ১৯৪৮ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত প্রজা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪৯ খ্রীষ্টাব্দে আওয়ামী মুসলীম লীগ হইতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫০ থেকে ১৯৬০ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৪ খ্রীষ্টাব্দে যুক্তফ্রন্ট এর আন্দোলনে সক্রিয় কর্মী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ খ্রীষ্টাব্দে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমারে ডাকে ৬ (ছয়) দফা দাবী আন্দোলনকে জোরদার ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭০ খ্রীষ্টাব্দে সাধারণ নির্বাচনে ন্যাশনাল এ্যাসেম্বলীতে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের (এমপি) মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন।
আ’লীগ নেতা হায়দার আলী বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে সাঘাটা-ফুলছড়িতে আওয়ামী লীগের সকল দলীয় কর্মকা-ে অংশ নিয়ে আসছি ্এবং কাজ করে যাচ্ছি। দলীয় পদ পেলে আমি দলকে আরও ভালো কিছু দিতে পারবো ও সফল ভাবে এগিয়ে নিবো।