গাজীপুরের কাপাসিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উদ্যাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির পর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চত্বরে স্মৃতিসৌধে সংসদ সদস্য, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, থানা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগি সংগঠন, কমিউনিষ্ট পার্টি, উপজেলা শিক্ষক সমিতি সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে উপস্থিত সকলে সারাদেশের ন্যায় একযোগে শুদ্ধসুরে জাতীয় সংঙ্গীতে অংশগ্রহণ করেন এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু করা হয়। পরে পুলিশ প্রশাসন, আনসার ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল কাপাসিয়া’ শীর্ষক সংবাদ, সামগ্রী ও আলোকচিত্র প্রদর্শণ এবং ‘স্বাধীণতা’ নামক দেয়ালিকা প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে সালাম গ্রহন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি। এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. আলহাজ¦ মোঃ আমানত হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম গোলাম মোর্শেদ খান, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফ এম নাসিম। পরে অংশ গ্রহনকারীদের মাঝে সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া ইয়াসমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রধান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রওশন আরা সরকার, কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাইজ উদ্দিন ফকির এবং উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা।
দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে শহীদ পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন এবং বাদ জোহর সকল মসজিদে জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে মিলাদ ও বিশেষ মুনাজাত করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন মন্দির, গির্জা, প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। বিকেলে কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজনের অংশগ্রহনে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ এবং উপজেলা কমপ্লেক্স পাবলিক স্কুল মাঠে মহিলাদের বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সন্ধ্যায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি করা হয়। এর আগে ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রাঙ্গণে আলোর মিছিল, গণহত্যার উপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শণ এবং উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে রাত ৯টা থেকে উপজেলার সর্বত্র প্রতীকী এক মিনিট ব্ল্যাক-আউট কর্মসূচি পালন করা হয়।