রাজশাহীর তানোরে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর আওয়ামী লীগের সম্মেলন বা (কাউন্সিল) হবার দিন ধার্য্য হয় গত ২১ মার্চ। এতে তৃণমূলে ফিরে আসে স্বস্তি। আনন্দিত হন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। তেমনিভাবে স্থগিত হওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে চরম হতাশার সৃষ্টি হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সম্মেলন ঘোষণার পর থেকেই তৃনমুলের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) তানোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সংগ্রামী সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নাকে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে দেখতে চাই বলে ঝড় উঠেছে।
তেমনি ভাবে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান দুঃসময়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ জিওয়ে রেখে নেতৃত্ব প্রদানকারী ব্যক্তিত্ব বর্তমানে তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকারকে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দেখতে চাই তৃণমুল। এ ব্যাপারে তিনি জানান, তৃনমুলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা তাঁকেই তানোর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দেখতে চাই বলে তাঁর অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
ফেসবুকে ও বিভিন্ন নেতাকর্মীর প্রত্যক্ষ আর পরক্ষভাবে এমন সমর্থন লক্ষ্য করে বর্তমানে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন অনিবার্য কারণ দেখিয়ে গেলো ২১ মার্চ সম্মেলন স্থগিত করেন। তবে, কবে নাগাদ এ সম্মেলন হবে তাও কেউ বলতে পারেননি। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম বিভিন্ন নামের ফেসবুক আইডি ঘেঁটে দেখা গেছে অনিবার্য কারণ দেখিয়ে সম্মেলন স্থগিতর করা হয়েছে।
এহেন পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীরা আবারও হতাশ হয়ে পড়েছে। অপরদিকে তাদের সমর্থকদের দাবি, সম্মেলন ছাড়াই অর্নিদিষ্টকালের জন্য পূনরায় সভাপতি-সম্পাদক পদে রাব্বানী-মামুনকে তানোর আ.লীগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অথচ এসবের কোন ভিত্তি নেই বলেও দাবি অনেকের। তারা সেটাকেই পুঁজি করে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
এতে বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলেও সিনিয়র নেতারা মনে করছেন। কিন্তু সম্মেলন না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন তৃণমুলের নেতাকর্মীরা। এমনকি সম্মেলন জমকালো আয়োজনে গত ১৪ মার্চ সোমবার বিশেষ বর্ধিত সভার ডাক দেওয়া হয়। এতে স্বাক্ষর করেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি/ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত)।
কিন্তু তার আগেই রহস্যজনক কারণে সম্মেলন স্থগিতের চিঠি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ খবর জানার পর থেকে তৃনমুলের নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা গ্রাস করেছে। তেমনি ভাবে দীর্ঘদিন ধরে পদে থাকা নেতাদের অনুসারীরা আবেগে পদ আকড়ে রাখতে নানান ধরনের ফন্দি ফিকির আঁতছেন। তেমনি অবুঝের মত বর্তমান সভাপতি ও সম্পাদককে পুনরায় দায়িত্বে রাখাও অভিনন্দন জানানো হচ্ছে। ফলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি এখন কোনদিকে এ নিয়েও তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ২১ মার্চ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের দিন ধার্য করা হয়। সম্মেলন সফল করতে ১৪ মার্চ সোমবারে বিশেষ বর্ধিত সভায় আহবান করা হয়। কিন্তু ১৩ মার্চ রোববার অনিবার্য কারেেণ সম্মেলন স্থগিত করা হয়। যার কারণে তৃনমুলের নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েন। কারণ বর্তমান সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রকাশ্যে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।
বিদ্রোহী কিংবা তাদের মদদ দাতারা কেউ পদে আসতে পারবে না বলে সাব জানিয়ে দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। এজন্যই পদ হারানোর আতঙ্কে দলীয় কর্মসূচি পালন না করা এবং সরাসরি স্থানীয় সাংসদের বিরুদ্ধে অবস্থান। জেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে উপজেলা ও পৌর নির্বাচন ছাড়া সবশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও প্রকাশ্যে নৌকাপ্রার্থীর বিরোধিতা করেন বর্তমান সভাপতি রাব্বানী ও সম্পাদক মামুন। এরআগেও সম্মেলন হওয়ার ঘোষণা আসলেও কোভিট-১৯ ও পৌর এবং ইউপি ভোটের কারণে স্থগিত হয়েছিল বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে। এভাবে কোন কারণ ছাড়াই তিনবার তানোর আ.লীগের কাউন্সিল স্থগিত করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন আ.লীগের কর্মী সমর্থকরা জানান, রাব্বানী-মামুন সম্মেলন হলেই তাঁদের হারাতে হবে দলীয় পদ। যার কারণে নানান ভাবে কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুলভাল বুঝিয়ে সম্মেলন স্থগিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেন বলেও বেশকিছু সিনিয়র নেতারা নিশ্চিত করেন। সম্মেলন হলে তাদের পদপদবি না থাকার সম্ভাবনা বেশি বলেও ধারনা তৃনমুলের।
দলীয় সুত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৩ সালের জানুয়ারী মাসে উপজেলায় ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে গোলাম রাব্বানীকে সভাপতি এবং আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীর আশীর্বাদেই তারা পদ-পদবী পান। এরপর জাতীয় নির্বাচনে সাংসদ নিজেও মনোনয়ন উত্তোলন করেন এবং রাব্বানীকে মনোনয়ন উত্তোলন করান। কারণ কোন কারণে সাংসদের মনোনয়ন বাতিল হলে রাব্বানী থাকবে। তখন অবশ্য উপজেলা লীগ ও সহযোগী সংগঠন এক কাতারে ছিল। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতেন।
বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচনের পর থেকে শুরু হয় ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগে ফাটল। ওই নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পান প্রয়াত মাহবুব জামান ওরফে ভুলু। দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটে অংশ নেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মাদ আলী সরকার। তার হয়ে কাজ করেন রাব্বানীসহ তার অনুগতরা। তারা এই পদে তখন থেকেই রয়েছেন। বিগত ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক মামুন দলীয় প্রতীক না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী না হলেও গোপনে বিরুদ্ধে ছিল অবস্থান। আর সভাপতি গোলাম রাব্বানী তার আপন ছোট ভাই সাবেক যুবলীগ নেতা শরিফুল ইসলামকে নৌকার বিরুদ্ধে ওয়ার্কার্স পার্টিতে যোগদান করিয়ে নৌকার বিরুদ্ধে হাতুড়ি প্রতীকে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করান। কিন্তু নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না।
সবচেয়ে অবাক করার বিষয় সাধারণ সম্পাদক মামুন ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে পরপর দুইবার বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে দু’জনই পরাজয় নিশ্চিত করেন।
সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে নৌকা না পেয়ে সভাপতির ভাই হাতুড়ি প্রতীকের প্রার্থী শরিফুলে পক্ষে অবস্থান নেন। তার আগ পর্যন্ত মামুন সাংসদের পক্ষে থেকে রাব্বানীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ অকথ্য ভাষায় বক্তব্য দিতেন। ওই সময় সাংসদের সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা নেন মামুন। সেই মামুন এখন রাব্বানীর আত্মার প্রতিক হলেন কিভাবে এমন নানা প্রশ্ন রাজনৈতিক অঙ্গনে। তাহলে কি স্বার্থের জন্যই রাজনীতি।
গত ২০২০ সালে মুন্ডুমালা পৌরসভার নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পান পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আমির হোসেন আমিন। কিন্তু ওই ভোটে রাব্বানীর একান্ত অনুসারী পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমানকে বিদ্রোহী প্রার্থী করেন। অবশ্য তাদের জগ মার্কার প্রার্থী সাইদুর ৬১ ভোটে বিজয়ী হন। পরোক্ষ প্রত্যক্ষ ভাবে সভাপতি-সম্পাদক বিদ্রোহী প্রার্থীকে যাবতীয় সহযোগিতা করে আসছেন। অবাক করার ব্যাপার ওই ভোটে নৌকার পক্ষে কোনদিন মুন্ডুমালায় আসেননি তাঁরা। অথচ উল্টো চিত্র কাঁকনহাট ও তানোর পৌরসভা নির্বাচনে।
বিশেষ করে তানোর পৌর নির্বাচনে সভাপতি-সম্পাদক ভোটের মাঠে ব্যাপক তৎপর ছিলেন। আর তাদের অনুসারীরা নৌকা না পেলেই বিদ্রোহী প্রার্থী হয়। তাদের প্যানেলের পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ইমরুল প্রথমবারের মত মেয়র নির্বাচিত হন। কিন্তু চমৎকার কার আনুগত্যের পরিচয় দেন সাংসদ। কাঁকনহাট পৌর নির্বাচনে জনপ্রিয় ব্যক্তি আবদুল মজিদ মাস্টার বিদ্রোহী প্রার্থী হলেও সাংসদ তাকে প্রত্যাহার করান। মুন্ডুমালা ও তানোর পৌরসভা নির্বাচনে সাংসদ প্রতিনিধি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না নৌকার পক্ষে মাটি কামড়ে প্রার্থীকে বিজয়ী করতে অবিরাম চেষ্টা করেন।
এছাড়াও গত বছরে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টির ভোট গ্রহণ হয় ১১ নভেম্বর। ওই ভোটেও প্রতিটি ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী দিলেও কোনদিন ভোটের মাঠে আসেন নি রাব্বানী ও মামুন। প্রতিটি ইউপিতে তাদের প্রার্থীরা পরাজিত হন। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় পাঁচন্দর ইউপি নির্বাচনে পুনরায় সভাপতি রাব্বানীর ভাই শরিফুলকে নৌকার বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোট করান। এমনকি তাদের বিদ্রোহী প্রার্থীরা মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট করেছিলেন। এজন্য ভোটের মধ্যে রাব্বানী ফেসবুকে পোস্ট করেন- অনেক দিন মোটরসাইকেলে চড়তে ইচ্ছে করছে, সাত থেকে লাকি সাত হতে হবে পোষ্টে এমন লিখাও দেখা গেছে। ভোটের ফলাফলের পর জয়জয়কার অবস্থা নৌকার। নৌকা বিজয়ে একপ্রকার ক্ষুব্ধ হয়ে পোস্ট করেন, চুরি করে পাশ করা মানে আসল জনপ্রতিনিধি নয়। এসব পোস্ট করে ব্যাপক সমালোচিত হন রাব্বানী।
ইউপির ভোটের আগে থেকে উপজেলার মাটিতে সভাপতি ও সম্পাদককে দলীয় কোন কর্মসূচিতে দেখা যায় নি। তবে, গত ২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সম্পাদক মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক পাপুল সরকার, মেয়র ইমরুলসহ তাদের অনুসারীরা শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়ে পৌর হলরুমে সভা করেন। তবে, ছিলেন না সভাপতি রাব্বানী। বেশকিছু সিনিয়র নেতারা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি দু’ভাগে বিভক্ত। গত ইউপি নির্বাচনের আগে দলীয়ভাবে ইচ্ছুক প্রার্থীদের বায়োডাটা নেওয়ার জন্য পরিষদ মিলনায়তনে বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় মারপিট ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই সময় থেকে আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে।
সম্মেলনের দিন তারিখ হওয়ার পর থেকে তৃনমুল নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছিল ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। এর যথেষ্ট কারণও জানা যায়, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এমন অবস্থা চলে আসছে আওয়ামী লীগে। দ্বন্দ্ব আরও প্রকট আকার ধারন করেছে। জোরালো দাবি নেতৃত্ব পরিবর্তনের।
এব্যাপারে তানোর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সম্মেলন স্থগিত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এটা কেন্দ্রীয় নেতারা বলতে পারবেন বলে এড়িয়ে যান। তার কয়েক দিন আগে তিনি জানান, সম্মেলন আমাদের নেতৃত্বেই হবে প্রয়োজনে ভোটও হতে পারে। সম্মেলন স্থগিতে বিষয়ে সভাপতি গোলাম রাব্বানীর মোবাইলে একাধিক বার ফোন দেওয়া হলেও রিসিভ করেন তিনি।
উপজেলার পাঁচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি আবদুল মতিন, বাধাঁইড় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, কামারগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি ফজলে রাব্বি ফরহাদ, চাঁন্দুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউয়িন আ.লীগ সভাপতি মজিবর রহমানসহ একাধিক নেতারা বলেন, যারা প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী এবং মদদ দাতা তারা কেউ দলীয় পদে আসতে পারবে না। আর সভাপতি সম্পাদকসহ তাদের অনুসারীরা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন মদদ দিয়েছেন, তাদের কোনভাবেই পদে থাকার অধিকার নেই। সম্মেলন হলেই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নৌকার কা-ারী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না অবশ্যই সভাপতি। যারা নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান হয়ে আবার নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারে তাদের পদে থাকার অধিকার হারিয়েছে। এজন্যই সম্মেলন হলে কিভাবে বানচাল করা যায় এটাতেই মরিয়া হয়ে থাকেন তারা। ওরাও ভালো যানে সম্মেলন হলেই আমাদের জায়গা থাকবে না। হারাতে হবে দীর্ঘদিনের আকড়ে ধরে রাখা অবৈধ পদ।
এবিষয়ে তানোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন- আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগসহ তৃনমুলের নেতাকর্মীরা তাঁকে চাইলে তিনি তানোর আ.লীগের সভাপতি পদে আসতে পারেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।