জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার সাপধরী ইউনিয়নে যমুনার শাখা নদীতে একটি ক্রসবাঁধ নির্মাণ করায় নদীর গতি পথ পরিবর্তন হয়ে প্রায় ৫শতাধীক বসতভিটা নদী ভাংগনের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে,ঠিক তেমনি জেগে উঠেছে প্রায় ২ হাজার হেক্টর ফসলী জমি। বর্তমানে সে চরে স্থানীয় কৃষকরা ধান, গম,বাদাম, ভুট্ট্রা,চিনা,কাউন, পিঁয়াজ ও রসুনের চাষ করে সুফল পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
জানাযায়,আশি দশকের পরবর্তি,সাবধরী ইউনিয়নে ইন্দুল্লামারী গ্রামের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত যমুনার শাখা নদীর ভাঙ্গন শুরু হয়। সে সময় জমিতে বালি পড়ে কোনরুপ ফসল হতো না। ঐসব নদীভাঙ্গা,বন্যা কবলিত অসহায় মানুষগুলো দিনাতিপাত করতো হতো অনাহারে অর্ধাহারে।
তাই এলাকাবাসীর দুঃখ লাগবে,সাপধরি ইউপির চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন (বিএসসি) তিনি ইন্দুল্লামারী গ্রামের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত যমুনার একটি শাখা নদীর(প্রায় ৫০মিটার) বাঁধ কাম রস্তা করায় উদ্যোগ গ্রহন করেন। গত বৎসর শুকনো মৌসুমে ইউপির চেয়ারম্যানের নের্তৃত্বে এলাকাবাসী প্রথমে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিক্তিতে কাজ শুরু করলে এলাকাবাসীর উৎসাহ-উদ্যোগ দেখে জামালপুর-২ ইসলামপুর আসনের উন্নয়নের রূপোকার,বর্তমানে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী আলহাজ ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম ও তার অব্যাহত প্রচেষ্টায় টেষ্ট রিলিফ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য বর্মসুচি(কাবিখা) বরাদ্দ দিয়ে প্রায় ২কিলোমিটার একটি ক্রস বাঁধ নির্মাণ করেন।
সরেজমিনে দেখাযায়,বাঁধটি নির্মাণের ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তনে হয়ে ইন্দুল্লামারী গ্রামের প্রায় ৫শতাধীক বাড়িঘর নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে,ঠিক তেমনি গত বৎসর বন্যায় পলিমাটি পড়ে জেগে উঠেছে প্রায় ২হাজার হেক্টর ফসলী জমি। বর্তমানে সেসব জমিতে স্থানীয় কৃষকরা ধান, গম,চিনা, কাউন,বাদাম, ভুট্ট্রা, পিঁয়াজ ও রসুনের আবাদ করে সাফল্যে অর্জন করেছেন। এখন আর সেই আগের মত বালুর মাঠ নেই, চার দিকে তাকালে শুধু সবুজ ফসলের সমারোহ দেখা যায়।
ইন্দুল্লামারী গ্রামের বাসিন্দা আজহার আলী,কাসেম মন্ডল,তোরাব আলী,আব্দুল হকসহ অনেকই জানান,বাঁধটির নির্মাণের ফলে বিগত বন্যায় বিস্তৃর্ন এলাকার উপরি ভাগে পলিমাটি জমে হাজার হাজার হেক্টর জমি আবাদ যোগ্য পরিণত হয়েছে। ফলে বাঁধের কারণে বিশাল চর জেগে উঠায় আমরা তাকে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করতে পারছি। আমাদের আর না খেয়ে থাকতে হচ্ছে না, এজন্য আমরা অত্যান্ত খুশী।
এ ব্যাপারে সাপধরি ইউপির চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন (বিএসসি)জানান, প্রথমে স্বেচ্ছাশ্রমের কাজ শুরু করলে এলাকাবাসীর উদ্যোগ দেখে মাননীয় ধর্মপ্রতিমন্ত্রী আলহাজ ফরিদুল হক খান দুলাল তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম ও তার অব্যাহত প্রচেষ্টায় এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জামাল আব্দুন নাসের বাবুলের সার্বিক সহযোগিতায় টেষ্ট রিলিফ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য বর্মসুচি(কাবিখা) বরাদ্দ দিয়ে প্রায় ২কিলোমিটার একটি ক্রস বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। তার দাবী বাধটি দীর্ঘ স্থায়ী করতে মাত্র ৫০মিটার বাধেঁর দুই পাশের্^ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যেমে জিও ব্যাগে বালি র্ভর্তি করে ডাম্পিং করা হলে চিরস্থায়ী বাঁধে রূপান্তরিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
এ বিষয়ে জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ তিনি জানান,আমি বিগত দিনে বাঁধটি পরিদর্শন করেছি। বাঁধ নির্মানের ফলে নদী ভাঙ্গন থেমে গেছে। নদীর গতি পরিবর্তন হয়ে নতুন চর জেগে বহু জমি চাষাবাদের আওতায় এসেছে। জিও ব্যাগ বরাদ্ধ পেলে সেখানে কিছু ব্যাগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
অপরদিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জামাল আব্দুন নাসের বাবুল বলেন,বাঁধের ৫০মিটার ডাম্পিং এর বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা আছে।
এ ব্যাপারে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ¦ ফরিদুল হক খান দুলাল এমপির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধুর সুয়োগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদিচ্ছায় যমুনার দ্বীপচর গুলোর বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কর্মকা- বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে। তাই তার কাছে ইসলামপুর বাসির পক্ষ থেকে চিরকৃতজ্ঞ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।