সাতক্ষীরার কলারোয়ায় থানায় ২৬মার্চ উপলক্ষে ভুড়ি ভোজের আয়োজন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এবার কলারোয়া থানা পুলিশ ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সীমান্তের চোরাঘাট মালিকদের ২৬মার্চ রাতে থানায় ডেকে নিয়ে ভুড়িভোজ করান। সেখানে ইটভাটা মালিকও ছিলো বলে জানা গেছে। যা কলারোয়া থানার সিসি টিভিতে রেকর্ড রয়েছে। এ বিষয়ে ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে অধিকাংশ ইউপি চেয়ারম্যান জানায়, তাদের প্রতি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ২৬মার্চ উপলক্ষে থানার ওসির নির্দেশে ৫হাজার টাকা করে ধরা হয়েছে। সে অনুযায়ী সংশ্লিষ্টি বিটের দারোগার মাধ্যতে ওই টাকা থানার ওসি সংগ্রহ করেছেন। এক ইটভাটা মালিক নাম প্রকাশ না করার সত্ত্বে জানান-তার ধরা চাদার টাকা মিনাজ নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে থানায় জমা দিয়েছেন। এক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, এটা নতুন কিছুর নয়, প্রতি অনুষ্ঠানে থানা পুলিশকে টাকা দিতে হয়। আমি ৫হাজার টাকা দিয়েছি, রাতে একা যেয়ে গরুর মাংশ, ছাগলের মাংশ, মুরগীর মাংশ, দই দিয়ে ভাত খেয়ে এসেছি। তিনি ওই সময় একজন চোরাঘাট মালিককেও থানায় ভাত খেতে দেখেছেন। এ বিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নাছির উদ্দীন মৃধা বলেন-এরকম বিষয় তার জানা নেই, দাওয়াতি মেহমানের সাথে যদি কেউ এসে খেয়ে যায়, সেটা তো তার ওই সময়ে দেখার বিষয় নয়। এদিকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য খুলনা বিভাগীয় পুলিশ কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষৃণ করেছে এলাকার সচেতন জনগণ।