কুমিল্লার হোমনায় সরকারি স্থাপনা দখল করে নামসর্বস্ব ভূঁইফোড় প্রতিষ্ঠানের নামে কতিপয় ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান বছরের পর বছর অপদখল করে তাদের নিজস্ব কর্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। উপজেলা ফ্লাড সেন্টারের সরকারি এসব জায়গা দখলমুক্ত করে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সরকারি ও সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানকে স্থান দেওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ারও আশ্বাস দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমন দে। উপজেলা দুর্নিতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আবদুল হকের দেওয়া বক্তব্যের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমন দে বলেন, জায়গার অভাবে বিএডিসির মতো একটি প্রতিষ্ঠানকেও জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যপারে যাচাই বাছাই করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উপজেলার মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ কথা বলা হয়। বুধবার বেলা এগারোটায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুম দের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তারা- চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক, রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিং, সদরের যানজট, উপজেলা ফ্লাড সেন্টারের অপদখলীয় কয়েকটি নামসর্বস্ব ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করে বিএডিসিসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে পুনঃস্থাপন, অবৈধ গ্যাস সংযোগদানে সহায়তাকারী দালালদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা ও ভুক্তভোগী গ্রাহকদের দুর্ভোগ নিরসনের দাবি জানান।
সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেহানা বেগম, পৌর মেয়র অ্যাড. মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহাসিন সরকার, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শহীদ উল্লাহ, পুলিশ ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আজিজুল বারী ইবনে জলিল, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী রুহুল আমিন, মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, হোমনা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোর্শেদুল ইসলাম শাজু ও সাংবাদিক মো. কামাল হোসেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম গণি, মো. জসীম উদ্দিন সওদাগর, জালাল উদ্দিন খন্দকার, জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা ও সাদেক হোসেন সরকার প্রমুখ।