ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার সদ্য বিদায়ী (বদলী জনিত কারনে) সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ জিল্লুর রহমান গত সোমবার দিবাগত রাত ১১ টায় তার নিজ কার্যালয়ে দাঁড়িয়ে বিদায়ী শুভেচ্ছা হিসেবে স্থানীয় সাংবাদিক মোঃ মেজবাহ উদ্দিনের হাতে তুলে দিয়ে গেলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জীবনি গাঁধা তিনটি পুস্তক। পুস্তক তিনটি হচ্ছে-‘এসো বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিখি’, ‘দাবায়ে রাখতে পারবা না’ ও ‘নদীর কাছে শেখা জীবনের পাঠ’। সবগুলো বইয়ের লেখক হচ্ছেন ‘রাম চন্দ্র দাস’। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর সদর এসিল্যান্ড লাভলী ইয়াসমিন ও গাজীরটেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াকুব আলী।
সাংবাদিক মেজবাহ উদ্দিন জানান, পুস্তক তিনটির দিকে এক নজর তাকিয়ে মনে হচ্ছিল আমি বঙ্গবন্ধুকে পেয়ে গেছি, তার মানে আমি সব পেয়ে গেছি। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালির গাদা গাদা ইতিহাস এখন আমার হাতে। এখন আমার কাছে রয়েছে দেশ প্রেমের স্বর্ণোজ্জল ইতিহাস, মুক্তির মহামন্ত্র। পুস্তকগুলোর মধ্যে কোনো বইতে বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরা হয়েছে কবিতার ছন্দে, আবার কোন বইতে সাহিত্য সম্ভার মিশ্রিত গদ্য আকারে। তা যেভাবেই হউক, বঙ্গবন্ধুর জীবনী কাছে থাকা মানেই সাংবাদিকের শ্রেষ্ঠ সম্পদটি ঘরে তোলা। মানুষ একে অন্যেকে অনেক কিছুই উপহার দেন। কিন্তু একজন সাংবাদিকের দরকার হৃদয়জুড়া দেশপ্রেম। সাংবাদিকতার প্রথম সূত্র হচ্ছে-‘জনগনের অধিকার সাংবাদিকের কাছে, সাংবাদিকের অধিকার জনগণের কাছে’। সেই গণমানুষের অধিকার, মানুষের মুক্তি, দেশের স্বাধীনতা অদায় করতে যেয়ে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান স্বপরিবার বিসর্জন দিয়েছেন। তাই সাংবাদিকদের প্রেরণা হওয়া উচিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, সাংবাদিকদের পথ প্রদর্শক হওয়া উচিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। তবেই মানুষের অধিকার নিয়ে সচল থাকতে পারে সাংবাদিকের কলম। আর সেই উপযুক্ত সম্পদটি বেছে নিয়ে এসিল্যান্ড মোঃ জিল্লুর রহমান সাংবাদিকের হাতে তুলে দিয়ে গেলেন বিদায়ী শুভেচ্ছা। তিনি বলেন, “ অত্র উপজেলায় যতদিনই দায়িত্ব পালন করেছি, স্থানীয় সাংবাদিকদের উৎসাহ ও প্রেরনা পেয়েছি বলেই কাজ করা সম্ভব হয়েছে। সাংবাদিকদের সহযোগীতা না পেলে হয়ত কর্মষ্পহা ভেঙে পড়ত, তাই বিদায় বেলায় তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের উপর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বিদায় যন্ত্রনা তুলে ধরেন”।