লক্ষ্মীপুরে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী আরজু বেগম (৪২)কে নির্যাতন পর হত্যার দায়ে স্বামী কামাল উদ্দীনকে মৃত্যুন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার (৩০ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুদ্দৌলাহ কুতুবী এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত কামাল সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের বড় বল্লভপুর গ্রামের বাসিন্দা।
নিহত আরজু বেগম পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের মৃত নজির আহম্মদ পাটওয়ারীর মেয়ে ও আসামি কামাল উদ্দীনের স্ত্রী ছিলেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌশুলী অ্যাডভোকেট আবুল বাশার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৯ সালের ২ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে কালাম উদ্দীন তার স্ত্রী আরজু বেগমকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে হত্যা করে।
এর ঘটনার পর ৪ জানুয়ারি নিহতের বড় ভাই জগলুর রহমান বাদী হয়ে কামালের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ আদালতে কামালের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে এ রায় দেয়।
এজাহার সূত্রে জানাগেছে, কামাল উদ্দীন ও আরজু বেগমের সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। আরজু বেগমের ভাইয়েরা প্রবাসে থাকে। তারা ঢাকায় জমি ক্রয় করে বাড়ি নির্মাণ করেন। সেখান থেকে কিছু জমি আরজু বেগমের বোন রোজিনা আক্তারকে লিখে দেওয়া হয়।
এ নিয়ে আরজু বেগমের স্বামী কামাল উদ্দীন ক্ষিপ্ত ছিল। সে প্রবাস থেকে দেশে এসে তার নামেও কিছু জমি লিখে দিতে স্ত্রী আরজু বেগমের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে তাকে নির্যাতন করতো কামাল। বিষয়টি নিয়ে কয়েক বার সালিশ বৈঠক হয়।
সর্বশেষ ২০০৯ সালের ২ জানুয়ারি হুমকি ও রাত ৯ টা থেকে পরদিন সকাল ৭ টা পর্যন্ত যে কোন সময়ে আরজু বেগমকে নির্যাতন (মারধর) করে হত্যা করে তার স্বামী।