গত ২৮/৩/২২ সোমবার সকাল ১০ টার সময় পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটনের হুকুমে তার পৌষ্য সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামি রাশেদ আলীর নের্তৃত্বে ৬০/৬৫ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা বেনাপোল স্থল বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের উপর অতর্কিত হামলা ও ঘটনার সাথে জড়িত অভিযুক্ত আসামীদের আটকের দাবীতে বুধবার দুপুরে বেনাপোলে সংবাদ সন্মেলন করেছেন বেনাপোল বন্দরে কর্মরত হ্যান্ডলিংক শ্রমিকরা।
বেনাপোল বন্দর হ্যান্ডলিংক শ্রমিক সংগঠনের সাধারন সম্পাদক ওহেদুজ্জামান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২৮ মার্চ সোমবার সকালে আমার শ্রমিকরা যখন বন্দরের ভিতর লোডিং আনলোডিং কাজে নিয়োজিত ছিল সেময় বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটনের নির্দেশে তার পোষ্য সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামি রাশেদ আলী তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বন্দর এলাকায় সাধারন শ্রমিকদের লক্ষ করে বৃষ্টির মতো বোমাবাজি করে আতঙ্ক সৃস্টি করে এবং আমার নিরিহ খেটে খাওয়া শ্রমিক ভাইদের রক্তাক্ত ঝখম করেছে। ধারালো রামদা দিয়ে মারাত্বক জখম হওয়া কয়েকজন শ্রমিক এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানী বানিজ্য উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই জামায়াত বিএনপির পেতাত্বা আওয়ামী লীগ নেতা লিটনের নির্দেশে এই বেনাপোল বন্দরের উন্নয়নকে বার বার পদদলিত করার চেষ্টা করেছে তার পৌষ্য সন্ত্রাসী রাশেদ গং। দীর্ঘ ১ ঘন্টার ও অধিক সময় বোমাবাজি করে সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট করেছে। আওয়ামী লীগ নেতা ও বেনাপোল পৌর মেয়র কিভাবে এ ধরনের দেশদ্রোহী মুলক কর্মকাণ্ড ও সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে পারেন তা আমার বোধগম্য নয়। এ ঘটনায় আশরাফুল আলম লিটনকে এক নম্বর আসামি করা হলেও কোন অদৃশ্য কারণে লিটনের নাম এজেহার থেকে তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে।
এসময় তিনি আর ও বলেন,একাধিক মামলার আসামি রাশেদ আলী গং শান্ত বেনাপোল কে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। আমদানি কারকদের মাঝে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। সন্ত্রাসী রাশেদ আলী গং ও হুকুম দাতা আশরাফুল আলম লিটনের আইনের আওতায় এনে তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্থি দাবী করেছেন। সংবাদ সন্মেলনে প্রেসক্লাব বেনাপোলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। হামলার প্রতিবাদে আজ বিকালে তারা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।