ময়মনসিংহের গফরগাঁও পৌর শহরের অন্যতম শিশু বিদ্যাপিঠ আদর্শ শিশু নিকেতনের (কেজি স্কুল) নার্সারী শ্রেণীর ছাত্র ইমাম (৬) মায়ের সাথে রাস্তা পারাপারের সময় অটোরিকশার ধাক্কায় মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছে। পরে শিশুটিকে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে খান বাহাদুর ইসমাইল রোডে জেব্রাক্রসিং বা গতিরোধক নেই। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শত শত শিশু শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খান বাহাদুর ইসমাইল রোড (গফরগাঁও -ময়মনসিংহ সড়ক) পারাপার হচ্ছে। এতে মাঝে মধ্যে সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কের পাশেই আদর্শ শিশু নিকেতন স্কুল। স্কুলে আসার বিকল্প পথ না থাকায় প্রায় ৬ থেকে ৭ শত জন শিক্ষার্থীকে এই সড়ক পার হয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয়।
সরজমিনে বৃহস্পতিবার ( ৩১ মার্চ) সকাল নয়টায় দেখা যায়, বিদ্যালয়টির চারপাশে সীমানাপ্রাচীর থাকলেও, নেই সামনের সড়কে কোনো জেব্রাক্রসিং বা গতিরোধক। কোনো সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড ও চিহ্ন নেই। সড়ক দিয়ে বেপরোয়াভাবে চলছে বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেল, সিএনজি, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা, ভটভটিসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। শিশু শিক্ষার্থীরা চলন্ত গাড়ির সামনে দিয়ে হাত উঁচিয়ে সড়ক পারাপার হচ্ছে। বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আব্দুছ ছাত্তার বলেন, পৌর শহরের মধ্যে অন্যতম এই শিশু বিদ্যাপিঠ। ছোট ছোট শিশু শিক্ষার্থীরা রাস্তা পারাপারের সময় প্রায়ই সময় সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের গতিরোধকের জন্য সুদৃষ্টি কামনা করছি।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডাঃ এস. এম শফিক উদ্দিন জানান, গতিরোধক না থাকায় এই পর্যন্ত ২৮জন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়টির সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। শিক্ষার্থীর মৃত্যুর আগেই যথাযথ কর্তৃপক্ষকে এখানে গতিরোধক স্থাপন করার অনুরোধ করছি।
ময়মনসিংহের সাবডিভিশন ইঞ্জিনিয়ার (রোডস) সৈয়দ আলম বলেন, বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।