ট্রেনের টিকেট যেন সোনার হরিণ। সাধারণ যাত্রীরা সহজে এ টিকেট না পেলেও কালোবাজারীরা পাচ্ছে তা অতি সহজেই। সৈয়দপুর, নীলফামারী,ডোমার ও চিলাহাটি স্টেশনে মেলে না ট্রেনের টিকেট। কোন কোন সময় কিছু টিকেট দেয়া হলেও পোহাতে হয় নানা দুর্ভোগ। প্রায় প্রতিদিনই টিকেট নিয়ে স্টেশন মাস্টার ও টিকেট বুকিং ম্যানের সাথে ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনা। তাদের ঘটনা নিয়ে শালিসও বসছে রেল স্ট্রেশনে। কিন্তু তারপরও সাবধানের বালাই নেই তাদের মধ্যে। এখন আবার নতুন যোগ হয়েছে সারভার জ্যাম। যাত্রীদের কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে গাড়ীতে টিকেট কেটে নেন। কোন উপায়ন্তর না পেয়ে গন্তব্যে যেতে বাধ্য হয়ে টিকেট না পেয়েই উঠতে হচ্ছে ট্রেনে। ট্রেনে ওঠার পর টিকেটের বাড়তি দাম ধরা হচ্ছে। এতেও ঘটছে তাদের সাথে যাত্রীদের কথা কাটাকাটি। কবে ট্রেনের এ ঘাপলাবাজী বন্ধ হবে তা জানতে চায় সাধারণ যাত্রীরা। প্রতিটি স্টেশনে রয়েছে দালালচক্র। তবে সৈয়দপুরে এ কারবারটি বেশী। যাত্রীরা টিকেট না পেলেও কালোবাজারীরা টিকেট পায় ঠিকই। এরইমধ্যে টিকেট বিক্রয়ে কালোবাজারি বন্ধ এবং অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয় ডোমারে।
২ এপ্রিল ডোমার বাজার রেলগেট মোড়ে ডোমারবাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়। মানববন্ধনে কাউন্সিলর মো. রুবেল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। এতে বক্তব্য রাখেন ডোমার প্রেসক্লাবের সভাপতি আসাদুজ্জামান চয়ন, ডোমার পৌর কৃষক লীগের আহ্বায়ক মো. আবু সাঈদ, ডোমার প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এমদাদুল হক মাসুম, ইয়াসিন মোহাম্মদ সিথুন, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুন সোহাগ, সুমন আহম্মেদ, ছাত্রনেতা আজমির রহমান রিশাদ প্রমূখ। এটি পরিচালনা করেন রাকিব আল আকাশ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ডোমারে ট্রেনের টিকিট অবৈধ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কালোবাজারিদের হাতে যায়। আর কালোবাজারিরা চড়া দাম হাঁকিয়ে বিপাকে ফেলে সাধারণ যাত্রীদের। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। কাউন্টারে গেলে টিকিট শেষ, এমন ঘটনার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অসাধু কালোবাজারিদের নির্মূল করার উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়। এ ছাড়া রেল খাতের সীমাহীন দুর্নীতি বন্ধ করে সাধারণ যাত্রীদের সুন্দর রেলভ্রমণ উপহারের দাবী জানান বক্তারা। উল্লেখ্য, ১৮৭৮ সালে চালু হওয়া ডোমার রেলওয়ে স্টেশনে বর্তমানে ৫টি আন্তঃনগর ও ১টি মেইল ট্রেন প্রতিনিয়ত চলাচল করে। ঢাকাগামী আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস, খুলনা গামী আন্তঃনগর রূপসা এক্সপ্রেস এবং সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট বিড়ম্বনায় ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ যাত্রীরা।